নানা চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে অবশেষে আজ উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাচ্ছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়াপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। এর ফলে প্রায় ৭ বছর পর দেখা হতে যাচ্ছে বড় ছেলে তারেক রহমানের সাথে। আজ (৭ জানুয়ারি)  রাত দশটায় কাতার এয়ারওয়েজের বিশেষায়িত এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা ছাড়বেন তিনি। সঙ্গে যাচ্ছেন পরিবারের সদস্য, মেডিকেল বোর্ডের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকসহ ব্যক্তিগত কর্মকর্তা ও সহকারীরা।

গতকাল সোমবার চেয়ারপার্সনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তুলে ধরেন বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডাক্তার এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি জানান, দ্রুত চিকিৎসা শেষে যেনে দেশে ফিরতে পারেন সেজন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।

ডাক্তার জাহিদ হোসেন জানান, লন্ডনে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানাবেন বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সেখান থেকে সরাসরি তাঁকে নেয়া হবে বিশেষায়িত হাসপাতালে।

প্রসঙ্গত দীর্ঘদিন ধরে নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। বিশেষ করে ২০১৮ সালে দুদকের মামলায় কারাগারে যাবার পর পরিস্থিতির অবনতি ঘটে আশংকাজনক হারে। দফায় দফায় হাসপাতালে ভর্তি হবার এক পর্যায়ে ২০২২ সালের জুন মাসে তাঁর হার্টে বেশ কয়েকটি ব্লক ধরা পড়ে। ঝুঁকিপূর্ণ একটিতে রিং পরানো হয়। এর ঠিক দুবছর পর তার হৃদযন্ত্রে বসানো হয় স্থায়ী পেসমেকার, এছাড়াও লিভার সিরোসিসের জন্য টিপস পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। শুরু থেকেই বাইরে নিয়ে চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড বারবার পরামর্শ দিলেও বিদেশে যাওয়ার অনুমতি দেয়নি পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। তবে গেলো বছর ৫ই আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর পাল্টে যায় পরিস্থিতি, অনুমতি মেলে বিদেশ যাওয়ার।