ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ এর মূল অংশ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার পর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এটি রাত ৩টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর ও মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৫ নম্বর বিপৎসংকেত বহাল রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-১৪) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এতে বলা হয়, উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি মঙ্গলবার রাত ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২৬০ কিলোমিটার পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৭০ কিলোমিটার পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশের উপকূল অতিক্রম অব্যাহত রয়েছে। এটি আরও উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে পরবর্তী ৪ থেকে ৬ ঘণ্টার মধ্যে (রাত ১টা থেকে ৩টা) চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

এতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

‘চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।’

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী এবং এর অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ২ থেকে ৩ ফুটের বেশি উচ্চতার বায়ু তাড়িত জলোচ্ছাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ী অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে বললেও জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে।