বাগেরহাটের রামপালে ১৩২০ মেগাওয়াট সুপার ক্রিটিক্যাল কয়লাচালিত তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের মৈত্রী পাওয়ার প্ল্যান্টের ইউনিট-১-এর উদ্বোধন করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ মঙ্গলবার (৬ই সেপ্টেম্বর) বাসসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কনসেশনাল ফাইন্যান্সিং স্কিমের অধীনে ভারতীয় উন্নয়ন সহায়তা হিসাবে ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারসহ প্রায় দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি স্থাপন করা হচ্ছে। ভার্চুয়ালি বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উদ্বোধনের আগে দুই প্রধানমন্ত্রী হায়দ্রাবাদ হাউসে দ্বিপাক্ষিক আলোচনার পর ঢাকা ও নয়াদিল্লির মধ্যে স্বাক্ষরিত সাতটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) বিনিময় প্রত্যক্ষ করেন।
মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টেটি বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতা বৃদ্ধির একটি বড় অগ্রগতি।
১৩২০ (২x৬৬০) মেগাওয়াট কয়লা চালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-১ সফলভাবে ১৫ আগস্ট জাতীয় গ্রিডের সাথে সমন্বয় করা হয়েছে।
বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাঃ) লিমিটেডের প্রকল্প পরিচালক সুভাষ চন্দ্র পান্ডে ইউএনবিকে বলেছেন, মেগা পাওয়ার প্ল্যান্টের দুটি ইউনিট চালু হয়ে গেলে মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টটি হবে বাংলাদেশের বৃহত্তম পাওয়ার প্ল্যান্টগুলোর মধ্যে একটি।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-২, যা রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প নামেও পরিচিত। এটি আগামী বছরের শুরুর দিকে চালু হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ সময় কুশিয়ারার পানিবণ্টন সংক্রান্ত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ায় ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, দুই দেশের মানুষের উন্নয়নের জন্য আমরা যৌথভাবে কাজ করে যাব।
এদিকে, বৈঠক শেষে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারত পায়ে পা মিলিয়ে চলবে উল্লেখ করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, আগামী ২৫ বছরে বাংলাদেশ উন্নত দেশে পরিণত হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চারদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (৫ই সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লি পৌঁছেছেন।