মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের হুঁশিয়ারির পর রাশিয়া থেকে তেল কেনা সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে ভারত। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতের রাষ্ট্রায়ত্ত চারটি প্রধান তেল শোধনাগার বিগত এক সপ্তাহে রুশ তেলের নতুন কোনো অর্ডার দেয়নি।

ট্রাম্প গত ১৪ জুলাই সতর্ক করে বলেন, রাশিয়া থেকে যারা তেল কিনবে, তাদের পণ্যের ওপর শতভাগ পর্যন্ত শুল্ক আরোপ করা হবে। তবে ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তিচুক্তি হলে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের বিষয়টি বিবেচনায় রাখা হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, গত এক সপ্তাহে ভারতীয় অয়েল কর্পোরেশন (আইওসি), হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম (এইচপিসিএল), ভারত পেট্রোলিয়াম (বিপিসিএল) এবং মাঙ্গালোর রিফাইনারি পেট্রোকেমিক্যাল (এমআরপিএল) রাশিয়া থেকে কোনো তেল কেনেনি। বরং তারা বিকল্প হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবির মুরবান ও পশ্চিম আফ্রিকার তেলের দিকে ঝুঁকেছে।

এছাড়া বেসরকারি খাতে রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ ও নয়ারা এনার্জি—যার বড় একটি অংশ রাশিয়ার রসনেফটসহ বিভিন্ন রুশ প্রতিষ্ঠানের মালিকানাধীন—তারা বার্ষিক চুক্তির আওতায় রাশিয়ান তেল কিনে যাচ্ছে।

বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম তেল আমদানিকারক ভারত এখন সমুদ্রপথে রপ্তানিকৃত রুশ তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা।

সূত্র জানিয়েছে, ২০২২ সালের রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা থাকার পর দেশটি থেকে কম দামে তেল আমদানি করছিল ভারত।

১৪ জুলাই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, রাশিয়া যদি ইউক্রেনের সঙ্গে বড় ধরনের শান্তিচুক্তিতে না পৌঁছায়, তবে যারা রুশ তেল কিনবে তাদের পণ্যে ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করা হতে পারে।

শিল্পসংশ্লিষ্টরা বলছেন, ২০২২ সালে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর এই প্রথম রুশ তেলের মূল্যের ওপর ছাড় এতটা কমেছে। ফলে ভারতীয় রিফাইনারিগুলো ক্রয় থেকে পিছিয়ে এসেছে।