রাষ্ট্রপতি পদের জন্য মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বৈধ প্রার্থী ছিলেন বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। তাঁর মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের সময় সাংবিধানিক ও আইনগত কোন অযোগ্যতা পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো অনাকাক্ষ্খিত বলেও মন্তব্য করেন সিইসি। আজ (বুধবার) দুপুরে নির্বাচন ভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান তিনি। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে ইসি থেকে নিয়োগ দেয়া হয়নি।

গত সোমবার দেশের ২২ তম রাষ্ট্রপতি হিসেবে নাম ঘোষণা করা হয় সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর। এরপর অনেকেই দুদকের কমিশনার হিসেবে সাহাবুদ্দিনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কতটুকু বৈধ তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।

তারই প্রেক্ষিতে আজ প্রধান নির্বাচন কমিশনার জানালেন, আইন অনুযায়ী তাকে নির্বাচিত ঘোষণা করেছে কমিশন। নিয়োগ এবং নির্বাচিত দু’টি প্রক্রিয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে বলেও মত দেন সিইসি। দুদক কমিশনার কিংবা বিচারপতি পদ থেকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত হতে আইনি বাধা নেই বলে জানান কাজী হাবিবুল আউয়াল।

২২ তম রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য একজনই মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। মাত্র একজনের মনোনয়নপত্র বৈধ হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন অনুযায়ী, মো. সাহাবুদ্দিনকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১২ই ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত সময়ে মো. সাহাবুদ্দিনের নামে দু’টি মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। ১৩ই ফেব্রুয়ারি বাছাইয়ের সময় একটি মনোনয়নপত্র সম্পূর্ণরূপে বৈধ হয়। সেক্ষেত্রে অপর মনোনয়নপত্রটি গ্রহণের আবশ্যকতা ছিল না।

এ বিষয়ে গত সোমবার প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেছিলেন, ‘বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের জন্য জারি করা প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র পরীক্ষার পর মাত্র একজনের মনোনয়নপত্র বৈধ থাকায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন, ১৯৯১ অনুযায়ী জনাব মো. সাহাবুদ্দিন, পিতা-মরহুম শরফুদ্দিন আনছারীকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।’