গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে প্রার্থিতা বাতিলের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে জাহাঙ্গীর আলমের দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর ফলে তার মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটার্নিং কর্মকর্তা যে সিন্ধান্ত দিয়েছেন তা বহাল থাকল বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

সোমবার বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মুহাম্মদ মাহবুবুল ইসলামের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে রিটটির ওপর শুনানি শুরু হয়।

জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও এম কে রহমান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

পরে এম কে রহমান বলেন, ঋণ খেলাপির (সিআইবি) অভিযোগে রিটার্নি কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমের প্রার্থিতা বাতিল করে দেন। আপিলের পর বিভাগীয় কমিশনারও তা বহাল রাখেন। এরপর হাইকোর্টে রিট করেন জাহাঙ্গীর আলম।

আমাদের বক্তব্য হচ্ছে তিনি তো ঋণ নেননি। তাই খেলাপিও না, ছিলেন জামিনদার। আর দুইদিন পরে সিআইবি তালিকা স্থগিতও হয়। কিন্তু আদালতে ফাইন্ডিংস এসেছে—মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় ঋণ খেলাপের তালিকায় নাম ছিল। এ কারণে রিট সরাসরি খারিজ দেন বলে জানান আইনজীবী এম কে রহমান। তবে জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন, তিনি আপিল করবেন।

এর আগে, রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট করা হয়।

গত ৩০ এপ্রিল আসন্ন গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করে নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম।

মনোনয়ন বাতিলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় কমিশনারের কাছে আপিল করেন জাহাঙ্গীর আলম। ৪ মে বিকেলে সেই আপিল খারিজ করে দেন ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম। এরপর তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন।

৮ প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন এবং ৯ মে প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। আগামী ২৫ মে গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।