ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত সুন্দরবনের বিভিন্ন চর থেকে আরও ৩১টি হরিণের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।শুক্রবার (৩১ মে) নতুন করে এই মৃতদেহ উদ্ধার করে মাটি চাপা দিয়েছেন বনরক্ষীরা।

এর আগে ঝড়ের পর থেকে বুধবার পর্যন্ত বনের বিভিন্ন চর থেকে ৯৬টি হরিণ এবং ৪টি শূকরের মৃতদেহ উদ্ধার করে বন বিভাগ।

এই নিয়ে ঘূর্ণিঝড় রিমালের পরে সুন্দরবন থেকে মোট ১২৭টি হরিণসহ ১৩১ বন্য প্রাণির মৃতদেহ উদ্ধার করল বন বিভাগ। এছাড়া জীবিত ও আহত অবস্থায় ১৮টি হরিণ ও একটি অজগর সাপ উদ্ধার করে বনে অবমুক্ত করেছে বন বিভাগ।

খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দে বলেন, শুক্রবার (৩১ মে) এ পর্যন্ত ১২৭টি মৃত হরিণ ও ৪টি মৃত বন্য শূকরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া জলোচ্ছ্বাসে ভেসে যাওয়া ১৮টি জীবিত হরিণ ও একটি জীবিত অজগর উদ্ধার করে বনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। উদ্ধারকৃত মৃত বন্যপ্রাণীগুলো কটকা, কচিখালী, দুবলা, নীলকমল, আলোরকোল, ডিমের চর, পক্ষীরচর, জ্ঞানপাড়া, শেলার চর এবং বিভিন্ন নদী ও খালে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে।

তিনি আরো জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে দফায় দফায় উচ্চ জোয়ারে সুন্দরবনের সব নদী-খাল উপচে বনের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়। এই জোয়ারের উচ্চতা ছিল ১০ থেকে ১২ ফুট। জলোচ্ছ্বাসের ফলে সৃষ্ট জোয়ারের পানি সুন্দরবনের গহিনে বিস্তৃত হয়। এর ফলে হরিণগুলো ভেসে ওঠে, কিন্তু সাঁতরে কূলে উঠতে পারেনি। এ কারণে সেগুলো মারা যেতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।