বোমা আতঙ্কে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট জরুরি অবতরণ করে। অবতরণের সঙ্গে সঙ্গে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সব সংস্থা ও বোমা ডিস্পোজাল স্কোয়াড প্রায় তিন ঘণ্টা তল্লাশি চালিয়ে বিমানটিতে বিস্ফোরক জাতীয় কোনো ক্ষতিকারক বস্তু পায়নি।

রাত ১টার দিকে ফ্লাইটটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিরাপদ ঘোষণা করে বিমান বাহিনীর বোমা ডিস্পোজাল ইউনিট। এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, ‘একটি তথ্য ছিল। সেটা যাচাই করার জন্য মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে তল্লাশি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত সন্দেহজনক কিছু পাওয়া যায়নি।’

সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রাত ১টা ৩০ মিনিটে সংবাদ সম্মেলন করতে আসেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ-উল আহসান। তিনি বলেন, আমাদের কাছে একটি তথ্য ছিল। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা অপারেশনের প্রস্তুতি নিই।

তিনি বলেন, স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) অনুযায়ী বিমানটি ল্যান্ড করার পর আমাদের বাহিনী সেখানে মোতায়েন করি। এরপর যাত্রী নামিয়ে তল্লাশি, প্লেনের কেবিন, লাগেজ কম্পার্টমেন্টসহ সব জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়। ডেঞ্জারাস বা বোমাসদৃশ্য কিছুই পাইনি। রাত ১টায় সর্বশেষ লাগেজ স্ক্যান করে অভিযান আনুষ্ঠানিকভাবে সমাপ্ত করে ফ্লাইটটিকে নিরাপদ ঘোষণা করা হয়।

ফোনের বিষয়ে তিনি বলেন, বোমা থাকার বিষয়ে একটি মালয়েশিয়ান নম্বর থেকে ফোন কল এসেছিল। র‍্যাব বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে এ তথ্য জানিয়েছিল। তবে আমরা সঙ্গত কারণে ওই নম্বর কিংবা কলারের পরিচয় প্রকাশ করছি না।

গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ বলেন, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটিতে ১৩৫ জন যাত্রী ছিলেন। তাদের মধ্যে একজন মালয়েশিয়ান নাগরিক, বাকিরা বাংলাদেশি। ফ্লাইটটি মালয়েশিয়া থেকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসা নিয়মিত ফ্লাইট ছিল।

বুধবার রাত ৯টা ৩৮ মিনিটে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের ঢাকা রুটের এমএইচ-১৯৬ ফ্লাইটটি মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুর থেকে নির্ধারিত সময়ে যাত্রা শুরু করে ঢাকায় অবতরণ করে। অবতরণের আগে ফ্লাইটের ক্যাপ্টেন ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দরকে ফ্লাইটে বোমাসদৃশ্য সন্দেহজনক বস্তু থাকার বিষয়টি অবগত করেন। এর পরই বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণ করে ফ্লাইটটি।

বিমানবন্দর সূত্র জানায়, কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ফ্লাইটটি থেকে যাত্রী নামাতে সব এয়ারলাইন্সের বাসগুলো বিমানের পাশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। রাত ১১টা ১০ মিনিটে সেনাবাহিনীর প্রায় অর্ধশতাধিক সদস্য বিমানবন্দরের ৮ নম্বর গেট দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে।

রাত ১টায় ফ্লাইটটি নিরাপদ ঘোষণা করা হয়।