প্রথম চালান পৌঁছানোর দুই সপ্তাহের মধ্যে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল বা ইউরেনিয়ামের তৃতীয় চালান পৌঁছেছে পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর প্রকল্পে।

শুক্রবার (১৩ অক্টোবর) সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটে সড়কপথে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ইউরেনিয়াম বহনকারী গাড়িগুলো রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভেতরে প্রবেশ করে। রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (এসআই) কান্তি কুমার মদক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) রাশিয়া থেকে তৃতীয় চালানের ইউরেনিয়াম বিশেষ বিমানে ঢাকায় পৌঁছে। প্রথম ও দ্বিতীয় চালানের মতোই সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়ে আমদানিকৃত পারমাণবিক জ্বালানি সড়ক পথে রূপপুরে নেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে আরও চারটি চালান দেশে আসবে। প্রাথমিক পর্যায়ে মোট সাতটি চালানে আসা জ্বালানি দিয়ে ২ হাজার ৪০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ইউনিটে নিরবচ্ছিন্নভাবে এক বছর বিদ্যুৎ উৎপাদিত হবে।

এর আগে গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেলে রাশিয়া থেকে ঢাকায় আসার পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের ‘ফ্রেশ নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ বা ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান রূপপুরে আনা হয়েছিল। গত শুক্রবার আনা হয় ইউরেনিয়ামের দ্বিতীয় চালান।

জানা গেছে, রূপপুরে বিদ্যুৎ উৎপাদনে যে জ্বালানি ব্যবহার হবে চুক্তি অনুযায়ী রাশিয়া তিন বছর বিনামূল্যে সরবরাহ করবে। প্রতিদিন জ্বালানির প্রয়োজন হয় না। একবার জ্বালানি লোডের পর প্রথম তিন বছরের জন্য বছরে একবার করে (এক-তৃতীয়াংশ) ও পরবর্তী সময়ে দেড় বছর পর পর জ্বালানি পরিবর্তন করতে হবে। ফলে জ্বালানির কারণে দেশের অন্যান্য কেন্দ্র যেভাবে বন্ধ থাকে, এখানে ওই ধরনের কোনো সংকট হবে না। নিরবচ্ছিন্ন জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিত করতেই প্রথম চালানের জ্বালানির আনুষ্ঠানিকতা শেষ হতে না হতেই তৃতীয় চালানের জ্বালানি রাশিয়া পাঠিয়ে দিয়েছে।

গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইউরেনিয়ামের প্রথম চালান ও ৬ অক্টোবর দ্বিতীয় চালান ঢাকা থেকে সফলভাবে ঈশ্বরদীর রূপপুরে পৌঁছে।

6

দেশের সবচেয়ে আলোচিত ও বড় প্রকল্প পাবনার ঈশ্বরদীর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে খরচ হচ্ছে প্রায় ১ লাখ ১৪ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে ২২ হাজার ৫২ কোটি ৯১ লাখ ২৭ রাশিয়ান ফেডারেশনের মধ্যে চুক্তির মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বাস্তবায়ন হচ্ছে। এটি দেশের প্রথম ও একমাত্র পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।