পাবনার ঈশ্বরদীতে নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দুটি ক্রেন থেকে বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরির ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (২৮ জানুয়ারি) বিকেলে গ্রেফতারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেফতাররা হলেন- কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের মো. হুজুর আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম সাজিব (৩৫) ও তারেকুল ইসলাম তারেক (৩৩)। তারা পেশায় ভাঙারি ব্যবসায়ী।

এর আগে বৃহস্পতিবার (২৭ জানুয়ারি) রাতে দুই ভাইকে ঈশ্বরদী থানায় হস্তান্তর করা হয়। কুষ্টিয়া জেলা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়েছিল।

কুষ্টিয়া র‌্যাব-১২ এর সিপিসি-১ কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার ইলিয়াস খান জানান, রূপপুর প্রকল্পে ক্যাবল চুরির বিষয়টি নিয়ে তারা কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। তথ্যর ভিত্তিতে তারা জানতে পারেন দুই ভাই ঘটনার সঙ্গে জড়িত। চুরির ক্যাবলগুলো তাদের কাছে ছিল। কোনো এক সময় মেশিন দিয়ে কেটে ক্যাবলগুলো তারা অন্যত্র বিক্রি করে দেন। এসব নানা তথ্য-উপাত্তের ভিতিত্তে আটক করে বৃহস্পতিবার রাতে ঈশ্বরদী থানায় হস্তান্তর করা হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রূপপুর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আতিকুল ইসলাম আতিক জানান, রূপপুরের দুটি লেইভার ক্রেন থেকে গুরুত্বপূর্ণ বৈদ্যুতিক ক্যাবল চুরির ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতেই তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছি। তদন্তের স্বার্থে বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না। দুইজনকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রূপপুর প্রকল্পের অভ্যন্তরে জাহাজের মালামাল ওঠা-নামার নির্ধারিত স্থানে থাকা ওই দুটি লেইভার ক্রেন গত ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণের সময়ে ক্যাবলগুলো সেখানে রাখা ছিল। কিন্তু গত ৯ জানুয়ারি পুনরায় জাহাজে ওই দুটি লেইভার ক্রেনের যান্ত্রিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার সময় ২৬৫ মিটার ক্যাবল পাওয়া যায়নি। যার মূল্য ৬৫ লক্ষাধিক টাকা।

এরপর থেকে রূপপুর প্রকল্পের জন্য নির্মিত জেটিতে মালামাল ওঠা-নামা অনিয়মিত হয়। এই চুরির কয়েক দিন পর ১৯ জানুয়ারি রাত ১১টার দিকে পাবনার ঈশ্বরদী থানায় একটি মামলা হয়। প্রকল্পের ডিরেক্টর অব সিকিউরিটি ভিএন তুরুটিন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।