কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও আরাকান সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে ৫ জন নিহত হয়েছেন। তারা সবাই আরসার সদস্য বলে জানা গেছে। শুক্রবার ভোরে উখিয়ার ক্যাম্প-৮ ওয়েস্টে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন, ক্যাম্প-৮ ওয়েস্ট এইচ-৪৯ ব্লকের আনোয়ার হোসেন (২৪), এ-২১ ব্লকের মো. জকরিয়ার ছেলে মোহাম্মদ হামীম (১৬), ক্যাম্প-১৩ এর বি-১৭ ব্লকের আবুল বাশারের ছেলে নুরুল আমিন (২৪) ও ক্যাম্প-১০ এর এইচ-৪২ ব্লকের আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. নজিমুল্লাহ। অপরজনের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।

৮ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) আমির জাফর বলেন, ভোরে ক্যাম্পে দুই দল রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে তিন জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আহত আরও দুই জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তারাও সেখানে মারা যান।

তিনি আরও জানান, ঘটনার পরপরই পালিয়ে গেছে প্রতিপক্ষ গ্রুপ। তাদের ধরতে এপিবিএন ও পুলিশের অভিযান চলছে। ঘটনাস্থল আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

রোহিঙ্গারা জানান, ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণে কিছু দিন ধরে ওই দুই গ্রুপের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই সূত্রে ধরেই ভোরে দুই গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি চলে। এতে পাঁচ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ক্যাম্পজুড়ে আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। রোহিঙ্গাদের বক্তব্যে আরসা ও আরএসও নামে দুটি বিবদমান গ্রুপের নাম উঠে এসেছে।

জানতে চাইলে ৮-এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার (অপারেশন অ্যান্ড মিডিয়া) ফারুক আহমেদ বলেন, ক্যাম্পে একাধিক সশস্ত্র গ্রুপের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে বাড়ছে খুনোখুনি। এরই মধ্য ভোরে দুই সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলি ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে নিহতরা সবাই আরসার সদস্য।

তিনি বলেন, কে আরসা, কে আরএসও— সেটি বিষয় নয়। ক্যাম্পে কোনও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চলবে না। যারাই অপরাধে জড়াবে, তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। এই হত্যাকারীদের ধরতে অভিযান চলমান।