কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা শিবিরে আরসা ও আরএসও এর মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গোলাগুলিতে দুইজন নিহত হয়েছেন।  নিহত ২জন আরসার সদস্য বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

আজ সোমবার (৯ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে উখিয়ার ক্যাম্প-৫ এলাকার ইরানি পাহাড় ও বালুর মাঠ এলাকায় এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক (অতিরিক্ত ডিআইজি) মোঃ ইকবাল।

নিহতরা হলেন উখিয়ার কুতুপালংয়ের বালুরমাঠ ক্যাম্পের ৩৩ বছরের সাকিবুল হাসান ওরফে সানাউল্লাহ ও ইরানী পাহাড় ক্যাম্পের ৩৬ বছরের আহমেদ হোসেন। তারা দুজনই আরসার সক্রিয় সদস্য বলে দাবি আইশৃঙ্খলাবাহিনীর।

উখিয়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানান, দুজনই আরসা সদস্য। ক্যাম্পে অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে আরসা ও আরসাবিরোধী সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। নিহত সানাউল্লাহ কুতুপালং ক্যাম্পের আরসার শীর্ষ সন্ত্রাসী। সে ক্যাম্প-২/ইস্টে আবুল কালাম মাঝি হত্যা, তাহের মাঝি হত্যা, আমিন মাঝি হত্যা চেষ্টাসহ বহু হত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়াও এক বছর পূর্বে এবিপিএন সদস্য মো. সাঈদুল ইসলামকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিল।

ঘটনার পরপরই ক্যাম্পে এপিবিএন পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

১৪ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক মোহাম্মদ ইকবাল জানান, সোমবার ভোররাতে উখিয়ার ইরানী পাহাড় ও বালুরমাঠ ক্যাম্পে পৃথকভাবে প্রতিপক্ষের লোকজন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালুভেশন আর্মির সদস্যদের ওপর গুলি ছোড়ে। এতে দুই সন্ত্রাসী সানাউল্লাহ ও আহমেদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়।

তিনি আরও জানান, মরদেহ উদ্ধার ও ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

গত কয়েক মাস ধরে ক্যাম্পে সক্রিয় রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও)। তাদের সঙ্গেই সংঘর্ষে প্রাণ গেছে অর্ধ-শতাধিক আরসা সদস্যের।