কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করেছেন জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনএইচসিআর প্রধান ফিলিপ্পো গ্রান্ডি। রোববার (২২ মে) তিনি কুতুপালং নিবন্ধিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৌঁছান। সেখানে ইউএনএইচসিআর পরিচালিত একটি কমিউনিটি সেন্টারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সঙ্গে তাদের চাহিদা, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যতের প্রত্যাশা নিয়ে তিনি মতবিনিময়ে অংশ নেন। এসময় রোহিঙ্গা প্রতিনিধিরা তাদের বক্তব্য তুলে ধরেন।

এছাড়া, রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় অবস্থিত ইউএনএইচসিআর পরিচালিত কমিউনিটি সেন্টার, ব্রাক কমিউনিটি সেন্টার, পিস এডলিসেন্ট ক্লাব, ডব্লিউবএফপি ফুড ডিসট্রিবিউশন সেন্টার এবং সিএনআরএস  সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিস) এবং ফিকাল স্লাডচ ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন।

এসময় বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময় করেন। ডব্লিউবএফপি ফুড ডিসট্রিবিউশন সেন্টারে রোহিঙ্গাদের খাদ্য বিতরণের সকল কার্যক্রম ঘুরে দেখেন।

এ সময় এসময় শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত, ফিলিপ্পো গ্রান্ডি সফরসঙ্গী ইউএনএইচসিআরের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ইন্দ্রিকা রাতওয়াত এবং হাইকমিশনারের সিনিয়র উপদেষ্টা হারভে ডি ভিলারোশে উপস্থিত ছিলেন।

ক্যাম্প পরিদর্শনে ফিলিপ্পো গ্রান্ডি রোহিঙ্গাদের বর্তমান অবস্থা ও তাদের সুযোগ সুবিধা আগের চেয়ে বেড়েছে উল্লেখ করে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার শাহ রেজওয়ান হায়াত। তবে ফিলিপ্পো গ্রান্ডি সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। ক্যাম্পেও এদিন সাংবাদিক প্রবেশের অনুমতি দেয়নি সংশ্লিষ্টরা।

এর আগে ২১ মে কক্সবাজার পৌঁছে জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন জাতিসংঘের ১১তম শরণার্থী বিষয়ক এই হাইকমিশনার।

মঙ্গলবার তিনি ভাসানচর পরিদর্শন করবেন। একইদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার সাক্ষাৎ করার কথা রয়েছে।

এর আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশে এসেছিলেন ফিলিপ্পো গ্রান্ডি, তিনি ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ইউএনএইচসিআরের প্রধানের দায়িত্ব থাকবেন বলে জানা গেছে। তিনি ৫ দিনের বিশেষ সফরে বাংলাদেশে এসেছেন।