প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে থাইল্যান্ড সহযোগিতা করবে। দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্রেথো থাভিসিন এই আশ্বাস দিয়েছেন।

সকালে গণভবনে থাইল্যন্ড সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, থাইল্যান্ডের সাথে সহযোগিতার সম্পর্কের নতুন দুয়ার খুলেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের অর্থনৈতিক ও সামাজিক কমিশনের (ইউএনএসক্যাপ) ৮০তম অধিবেশনে যুদ্ধকে ‘না’ বলার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে আহবান জানিয়েছে বাংলাদেশ।

জাতিসংঘের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল ও ইউএনএসক্যাপ-এর এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি মিজ আরমিনা সালসিয়ান আলিসজাহবানা সাথে বৈঠকে দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।

থাইল্যান্ডে ছয় দিনের রাষ্ট্রীয় সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী ২৯ এপ্রিল দেশে ফিরেছেন। সফরকালে শেখ হাসিনা গভর্ণমেন্ট হাউসে (থাই প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়) থাই প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে দুই নেতার উপস্থিতিতে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি, জ্বালানি সহযোগিতা, পর্যটন ও শুল্ক সংক্রান্ত বিষয় এবং মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির (এফটিএ) আলোচনার বিষয়ে পাঁচটি দ্বিপাক্ষিক নথি সই হয়।

পাশাপাশি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী দুসিত প্রাসাদের অ্যামফোর্ন সাথার্ন থ্রোন হলে থাইল্যান্ডের রাজা মহা ভাজিরালংকর্ন ফ্রা ভাজিরা-ক্লাওচা-উয়ুয়া এবং রাণী সুথিদা বজ্রসুধা-বিমলা-লক্ষণের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন।