রোহিঙ্গাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে দ্রুত প্রত্যাবাসনে ভারতকে অধিকতর কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। মঙ্গলবার (২ মে) দুপুরে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে রাষ্ট্রপতি এ আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়ায় ভারতের সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। পাশাপাশি মুক্তিযুদ্ধের সময় তার ভারতে অবস্থান, প্রশিক্ষণ গ্রহণ এবং যুদ্ধে অংশ নেওয়ার কথাও তুলে ধরেন।
সম্প্রতি চট্টগ্রাম ও মোংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার বিষয়ে স্বাক্ষরিত চুক্তির বিষয়টি উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, এর ফলে দুদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়বে এবং আর্থসামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, শুধু মানবিক কারণে বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিলেও রোহিঙ্গারা এখন শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, এই অঞ্চলের জন্য একটি বড় সমস্যা। এ সমস্যার সমাধানে ভারতকে অধিকতর কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানাই।
রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করে বলেন, পানিবণ্টনসহ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অমীমাংসিত ইস্যুগুলো পারস্পরিক সহযোগিতা ও আলোচনার ভিত্তিতে অচিরেই নিষ্পত্তি হবে।
বাংলাদেশে ভারতের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সফর ও ভারতে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সফরের বিষয়টি উল্লেখ করে মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, এর ফলে দুদেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্কে নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে।
সাক্ষাৎকালে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, ভারত-বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নকে বিশেষ গুরুত্ব দেয়। গত দেড় দশকে দুদেশের মধ্যে কানেক্টিভিটি বৃদ্ধি পাওয়ায় উভয় দেশের জনগণ এর সুফল পাচ্ছে।
সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির প্রশংসা করে ভারতের হাইকমিশনার বলেন, এর ফলে এ অঞ্চলে স্থিতিশীলতা এসেছে, যা অর্থনৈতিক উন্নয়নে ইতিবাচক অবদান রাখছে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন এবং সচিব (সংযুক্ত) মো. ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।