স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, র্যাবের কয়েকজন কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা নিয়ে মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু’র সাথে আলোচনা হয়েছে। আজ (সোমবার) দুপুরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়াটি জটিল জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আইনজীবীরা যেভাবে কাজ করছে তাতে দ্রুত নিষেধাজ্ঞা উঠে যেতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রকে জানানো হয়েছে। বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন এবং একই সাথে জনসভার নামে কোনো সহিংসতা যুক্তরাষ্ট্র দেখতে চায় না।
মন্ত্রী বলেন, “ডোনাল্ড লু র্যাবের কার্যক্রমের জন্য দেশ ও দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রশংসা করেছেন।”
মার্কিন সহকারী সেক্রেটারিকে উদ্ধৃত করে কামাল বলেন, “তিনি (ডোনাল্ড লু) বাংলাদেশকে আশ্বস্ত করেছেন, একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে শিগগিরই র্যাবের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হবে।”
বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাতকালে ডোনাল্ড লু আশ্বস্ত করেন, “বাংলাদেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। সামনেও মার্কিন সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে সহায়তা অব্যাহত রাখবে।”
কামাল বলেন, “যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে আরও সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে দেখতে চায়।”
তিনি বলেন, “মার্কিন কর্মকর্তা বাংলাদেশের মানবাধিকারের আরও উন্নতি চান।”
মন্ত্রী বলেন, “আমরা অগ্নিসংযোগ, সহিংসতা ও জঙ্গিবাদ নিয়ে আলোচনা করেছি। তারা এদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কেউ যেন সহিংসতায় না জড়ায়।”
জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “আমরা তাদের বলেছি সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন (ইসি) জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা করবে।”
তিনি বলেন, “সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য ৯০ দিনের মধ্যে ইসি সবকিছুর দায়িত্ব নেবে। মন্ত্রীরা শুধু রুটিন ওয়ার্ক করবেন। তারা (মার্কিন প্রতিনিধি দল) সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতির প্রশংসা করেছেন।”
কামাল বলেন, “জনসভার নামে ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও সড়ক দখল যুক্তরাষ্ট্র পছন্দ করে না।”
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, “মার্কিন প্রতিনিধি দল জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক-রোহিঙ্গা-প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশকে তাদের আরও সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে। তারা তাদের আর্থিক সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলেও জানিয়েছে।”
এক প্রশ্নের জবাবে কামাল বলেন, “প্রতিটি রাজনৈতিক দল তাদের কর্মসূচি করছে। সেখানে সরকার কখনও বাধা সৃষ্টি করে না, সামনেও করবে না।”
তবে কোনো পক্ষ কর্মসূচির নামে রাস্তায় বাধা সৃষ্টি করে, সম্পত্তির ক্ষতি করে, অগ্নিসংযোগ করে, প্রাণ হারালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে বলে জানান তিনি।
