লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা খোরশেদ আলম মিরন হত্যা মামলায় ১১ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. রহিবুল ইসলাম এ রায় দেন। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আরও ১১ জনকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।

কৌঁসুলি (পিপি) জসিম উদ্দিন জানান, তিনি আরও জানান, রায়ের সময় সিএনজি মিলন ও রুবেল নামের দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। তবে বাকিরা পলাতক রয়েছেন।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- জামাল হোসেন, জসিম উদ্দিন, মো. শাহজাহান, ফয়সাল খান জয়, মো. মিলন প্রকাশ সিএনজি মিলন, আল-আমিন, বরকত, নিশান, রুবেল, আলাউদ্দিন সুমন প্রকাশ চুইল্লা সুমন ও লোকমান।

খালাস প্রাপ্তরা হলেন মো. আলমগীর, মাহফুজ আলম বেরাইজ্জা সুমন, মামুন, জুয়েল হোসেন, কাউসার হোসেন রাজন, শাহ আলম পাটওয়ারী সোহাগ, কাউসার, চরচামিতা সুমন, রিপন, সামছুদ্দিন সামু ও কামাল খান।

এজাহার সূত্র জানায়, ভিকটিম মিরন সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ছিলেন।

২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে দত্তপাড়া ইউনিয়নের পূর্ব আলাদাদপুর গ্রামে একটি দোকানে ইউপি মেম্বার মিরন আড্ডারত অবস্থায় দিচ্ছিলেন। তখন আসামিরা দলবদ্ধভাবে ওই দোকানে উপস্থিত হয়ে মিরনকে গুলি করে। এতে মিরন মারা যান। ৩০ সেপ্টেম্বর মিরনের স্ত্রী তাহমিনা বাদী হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানায় অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন।২০২১ সালের ২৪ মার্চ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও দত্তপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক (ইনচার্জ) হাসান জাহাঙ্গীর হোসেন আদালতে ২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।