চার মাস চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। তার সঙ্গে রয়েছেন দুই পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান।
সোমবার (৫ মে) যুক্তরাজ্য স্থানীয় সময় বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় ৯টা ১০ মিনিট) খালেদা জিয়াকে বহনকারী কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির দেওয়া বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেটি লন্ডনের হিথ্রো বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করে।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার দুপুর ২টা ১০ মিনিটে লন্ডনের বাসা থেকে হিথ্রো বিমানবন্দরের পথে যাত্রা করেন সাবেক এ প্রধানমন্ত্রী। এসময় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজেই গাড়ি চালিয়ে মাকে বিমানবন্দরে পৌঁছে দেন।
সেখানে দেখা যায়, গাড়ির সামনের আসনে ছিলেন খালেদা জিয়া, পেছনের সিটে বসা ছিলেন দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান। চালকের আসনে ছিলেন তারেক রহমান।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে এসময় কাউকে উদ্দেশ্য করে খালেদা জিয়াকে বলতে শোনা যায়, সবাই ভালো থাকো। ছেলের চেয়ে বয়সে ছোট একজনকে বলেন, ‘ভাইয়ার দিকে খেয়াল রেখো (তারেক রহমানকে নেতাকর্মীদের অনেকেই ভাইয়া বলে সম্বোধন করেন) খেয়াল রেখো।’পরে পাশে দাঁড়ানো নাতনি জাইমা রহমানকে বলেন, ‘আব্বুর দিকে খেয়াল রেখো।’
খালেদা জিয়ার সঙ্গে আছেন তার দুই পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান। এছাড়াও আছেন তার মেডিকেল বোর্ডের সদস্য ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. আবু জাফর মো. জাহিদ হোসেন, অধ্যাপক ডা. শাহাবুদ্দিন তালুকদার ও ডা. জাফর ইকবাল; বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ এনামুল হক চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য ও বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল, যুক্তরাজ্য বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কয়সর এম আহমেদ, খালেদা জিয়ার সহকারী মাসুদুর রহমান, মিসেস দিলারা মালিক, তার দুই গৃহপরিচারিকা ফাতেমা বেগম ও রুপা শিকদার।
এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি মাঝে কাতারে যাত্রাবিরতি করবে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাকায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছার কথা রয়েছে।
এদিকে ঢাকায় খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানানোর ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে বিএনপি। খালেদা জিয়ার জন্য তার বাসভবন ফিরোজা প্রস্তুত করা হচ্ছে।
গত ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। সেখানে লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন সাবেক প্রধানমন্ত্রী। টানা ১৭ দিন লন্ডন ক্লিনিকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি ও অধ্যাপক জেনিফার ক্রসের তত্ত্বাবধায়নে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে ২৫ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে তারেক রহমানের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং সেখানেই এতদিন চিকিৎসাধীন ছিলেন।