পরিবারের সবার সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে রাজধানী ছাড়ছে মানুষ। ঈদ যাত্রার প্রায় শেষ পর্যায়ে সড়ক ও রেলপথে বাড়ছে যাত্রীর চাপ। সারা বছরের মন্দা কাটিয়ে লঞ্চও পাচ্ছে যাত্রীর দেখা। তবে যাত্রীর চাপ থাকলেও এবার মহাসড়কে নেই যানজট, দুর্ভোগ।

এবার ঈদে লম্বা ছুটি থাকায় বেশ আন্দন বাড়ি ফেরা মানুষের চোখে মুখে। বন্দর-স্টেশন-টার্মিনালে তাই নেই যাত্রীর উপচে পড়া ভিড়। মোটের ওপর স্বস্তিতেই চলছে ঈদ যাত্রা।

গতকাল রবিবার ( ৭ এপ্রিল ) ঢাকার সড়কে যান ও মানুষের ভিড় কম থাকার চাপ ছিল স্পষ্ট। ঈদের আঘের দিন পর্যন্ত ঢাকা ছাড়ার শেষ ঢল নামবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

স্বস্তিকর যাত্রার জন্য অধিকাংশেরই প্রথম পছন্দ ট্রেন। বিশেষ করে দূরপাল্লার যাত্রীদের। আজ সোমবার (৮ই মার্চ) সকাল থেকেই কমলাপুর স্টেশনে ভিড় করতে থাকেন যাত্রীরা। নিয়মিত ট্রেনের পাশাপাশি যুক্ত হয়েছে দু’টি বিশেষ  ট্রেন। আর নির্ধারিত সময়ে স্বস্তির ট্রেন যাত্রার কারণে খুশি যাত্রীরা।

অন্যদিকে, বাসে চড়েও রাজধানী ছাড়ছে ঘরমুখো মানুষ। রাজধানীর বিভিন্ন বাস টার্মিনাল থেকেও ঘরমুখো মানুষ ছুটছে বাড়ির পানে। তবে বাস সংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যাপ্ত বাস থাকলেও তেমন চাপ নেই যাত্রীর ।

এই মুহুর্তে মহাসড়কগুলোতে গাড়ির চাপ বাড়লেও নেই তেমন কোন যানজট। উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে স্বাভাবিক গতিতে চলছে যানবাহন। ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের নারায়ণগঞ্জ অংশে যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। নতুন ছয়টি ইলেক্ট্রনিক টোল আদায় কাউন্টার চালু করায় গাড়ির চাপও কমেছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের প্রবেশপথ বঙ্গবন্ধু এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ীর চাপ থাকলেও নেই যানজট। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কেও যানচলাচল স্বাভাবিক।