আরলিং হালান্ডের ৫ গোলে লাইপজিগকে ৭-০ গোলে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার-ফাইনালে উঠেছে ম্যানচেস্টার সিটি। ইতিহাদ স্টেডিয়ামে মঙ্গলবার রাতে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগে এক তরফা খেলে জিতেছে ইংলিশ চ্যাম্পিয়নরা। অন্য দুই গোলদাতা কেভিন ডে ব্রুইন ও ইলকাই গিনদোয়ান। দুই লেগ মিলিয়ে ৮-১ গোলের অগ্রগামিতায় শেষ আটে পা রাখলো ম্যান সিটি। প্রথম লেগে ১-১ সমতা ছিল।
শুরু থেকে জার্মান দলটিকে চেপে ধরে সিটি। একাদশ মিনিটে প্রথম সুযোগ পায় তারা। নিজেদের অর্ধ থেকে লম্বা করে বল বাড়ান নাথান আকে। প্রতিপক্ষের এক ডিফেন্ডারকে গতিতে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে টোকা দেন হলান্ড। তবে রুখে দেন গোলরক্ষক। কিছুক্ষণ পর ১ মিনিট ১৮ সেকেন্ডের মধ্যে দুই গোল করে সিটিকে শেষ আটের পথে এগিয়ে নেন হালান্ড। ২২তম মিনিটে স্পটকিকে প্রথম গোলটি করেন নরওয়ের ফরোয়ার্ড। বক্সে লাইপজিগের ডিফেন্ডার বেনিয়ামিন হেনরিকসের হাতে বল লাগলে ভিএআরের সাহায্যে রেফারি পেনাল্টি দিয়েছিলেন।
এরপর কেভিন ডি ব্রুইনের শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে হেডে জালে পাঠান হালান্ড। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২৫ ম্যাচে হালান্ডের ৩০ নম্বর গোল এটি। প্রতিযোগিতাটিতে তার চেয়ে কম ম্যাচে এই মাইলফলক ছুঁতে পারেননি আর কেউ। তিনি ভেঙে দিলেন সাবেক ডাচ ফরোয়ার্ড রুড ভন নিস্টলরয়ের (৩৪ ম্যাচ) রেকর্ড।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন হালান্ডের। ডি ব্রুইন কর্নারে রুবেন ডিয়াজের জোরাল হেড লাগে পোস্টে। বল গোললাইনের ওপর দিয়ে চলে যায় অন্য পাশে। লাইপজিগের এক ডিফেন্ডারের ক্লিয়ারের চেষ্টায় বল হালান্ডের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে প্রথমার্ধে একাধিক হ্যাটট্রিক করলেন হালান্ড। প্রথম জন সাবেক ইতালিয়ান ফুটবলার মার্কো সিমোনে, ১৯৯৬ সালে এসি মিলানের হয়ে ও ২০০০ সালে মোনাকোর জার্সিতে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ব্যবধান ৪-০ করেন গুন্দোয়ান। এর মিনিট চারেক পরে আরও দুটি গোল করেন হালান্ড। এতেই সিটির হয়ে এক মৌসুমে সবচেয়ে বেশি গোলের নতুন রেকর্ড গড়লেন তিনি। ভেঙে দিলেন টমি জনসনের প্রায় শতবর্ষী রেকর্ড। ১৯২৮-২৯ মৌসুমে ৩৮ গোল করে রেকর্ডটি গড়েছিলেন সাবেক এই ইংলিশ স্ট্রাইকার। আর হালান্ডের গোল সংখ্যা বর্তমানে ৩৯টি।
হলান্ডের কীর্তি আছে আরও। স্রেফ তৃতীয় খেলোয়াড় হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক ম্যাচে ৫ গোল করলেন তিনি। ২০১২ সালে বার্সেলোনার হয়ে বায়ার লেভারকুজেনের বিপক্ষে লিওনেল মেসি ও ২০১৪ সালে শাখতার দোনেৎস্কের হয়ে বাতে বরিসভের বিপক্ষে লুইস আদ্রিয়ানো এই নজির গড়েছিলেন। শেষ দিকে এসে ডি ব্রুইন গোল করলে ৭-০ ব্যবধানে জিতে শেষ আট নিশ্চিত করে ম্যানসিটি।