বৃষ্টি ও ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে লালমনিরহাটে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে লালমনিরহাটের নিুাঞ্চলের ১০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে ২০ হাজার মানুষ।
তিস্তা নদীর পানি বিদপসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীর ভাটিতে থাকা হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, আদিতমারী ও সদর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের নিুাঞ্চলে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, ভারতের গজল ডোবা গেট খুলে দেয়ায় তিস্তার পানি বাড়ছে। ব্যারেজ পয়েন্ট ৫২টি গেইট মধ্যে ৪৪টি গেট খুলে দেয়া হয়েছে। পানি বাড়ায় আদিতমারী, কালীগঞ্জ, হাতিবান্ধার নিম্নাঞ্চলগুলো তলিয়ে যাচ্ছে। এ ভাবে পানি বাড়লে বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্ল্যাহ জানান, বন্যা হলে ত্রাণ সামগ্রী রয়েছে। সর্তক রাখা হয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের।
এদিকে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তিস্তাপাড়ের মানুষ। চর এলাকায় চাষাবাদের জন্য বসবাসরত লোকজন গ্রাম এলাকায় চলে আসছেন। নৌকায় করে চরের ফসল নিয়ে আসছেন উঁচু এলাকায়। কৃষকরা জানান, কয়দিন ধরে বৃষ্টিতে পানি বাড়ছে। তাদের ক্ষেত ডুবে গেছে।
লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী সুনীল কুমার জানান, ভারতে গজল ডোবা গেট খুলে দেয়া ও ভারতে বৃষ্টিপাতের কারণে তিস্তাসহ ছোট নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি বলেন, গ্রীষ্ম মৌসুমে তিস্তার বিভিন্ন এলাকায় প্রকল্পের কাজ করা হয়েছে। মহিষখোঁচা এলাকায় ৪৯ কোটি টাকা ব্যয়ে বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। ভাঙনপ্রবণ এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে।