চট্টগ্রাম টেস্টে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে ছিলেন লিটন, তবে খুব কাছে গিয়েও তা পূরণ করতে পারেননি তিনি। ঢাকা টেস্টে সেই ভুল আর করেননি লিটন, পেয়েছেন টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতকের দেখা।  সেঞ্চুরির দেখা পেতে ১৪৯ বল খেলেছেন লিটন, যেখানে ছিল ১৩টি চারের মার।

ইনিংসের ৩৯তম ওভারে অসিথা ফার্নান্দোর বলে পুল করতে গিয়ে বলটা হাওয়ায় ভাসিয়ে দিয়েছিলেন লিটন। ডিপ ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে সেই ক্যাচ তালুবন্দি করতে পারেননি ফিল্ডার কামিন্দু মেন্ডিস। তখন ৪৭ রানে ব্যাট করছিলেন লিটন।

জীবন পাওয়ার পর টানা দুই চারে লিটন যেন বার্তা দিয়েছিলেন আজ তাকে দমানো যাবে না। হয়েছেও তাই। করেছেন সেঞ্চুরি। তার পরের ওভারেই লিটন যেন ফেরেন আরও খুনে অবতারে। আসিথা ফার্নান্দোর করা দ্বিতীয় বলে হুক করে পাঠিয়ে দিলেন বাউন্ডারির বাইরে। দুই বল ডট দিয়ে পুল করে এবার হাওয়ায় ভাসিয়ে পাঠিয়ে দেন বাউন্ডারির বাইরে!

এর মাধ্যমে লিটন তার টেস্ট ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসও পেয়ে যান। এর আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে ১১৪ রানের ইনিংস ছিল সর্বোচ্চ। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ১১৭ রান করেছেন। ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ইনিংস গড়ার পথে এগিয়ে যাচেছন লিটন দাস।

এর আগে ব্যাট হাতে নেমে দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও মাহমুদুল হাসান জয় ফেরেন শূন্য রানে। এরপর ক্রিজে নেমে ব্যক্তিগত ৯  রানের ইনিংস খেলে অসিথা ফার্নান্দোর বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন মুমিনুল হক। ৮ রান করা নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট উপড়ে ফেলেন রাজিথা। তার পরের বলেই ক্রিজে এসে এলবিডব্লিউর শিকার হন সাকিব আল হাসান। তিনিও কোনো রান করতে পারেননি।

এই ম্যাচে শরিফুলের বদলে একাদশে ফিরেছেন এবাদত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজ শেষে, ডিপিএলে চোট পেয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে খেলতে পারেননি এবাদত। অন্যদিকে নাঈম হাসানের বদলে ২০ মাস পর দলে জায়গা করে নিয়েছেন মোসাদ্দেক। তিনি ২০১৯ সালে সবশেষ চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সাদা পোশাকে মাঠে নেমেছিলেন।