উত্তর আফ্রিকার বৃহত্তর রাষ্ট্রগুলোর অন্যতম লিবিয়া থেকে আরও ১২৩ জন অনিবন্ধিত বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। যাদের অধিকাংশই মানব পাচারের শিকার। স্বেচ্ছায় দেশে ফেরার আগ্রহ প্রকাশ করার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে বুরাক এয়ারের একটি বিশেষ চার্টার্ড ফ্লাইটে (ইউজেড ০২২২) তারা ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রিপলিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা যৌথভাবে লিবিয়া থেকে স্বেচ্ছায় দেশে ফেরত আসতে ইচ্ছুক এই ১২৩ জন অনিয়মিত বাংলাদেশি নাগরিক দেশে ফিরিয়ে আনে।

দেশে ফেরার পর তাদের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার কর্মকর্তারা অভ্যর্থনা জানান। বর্ণিত ফ্লাইটে প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিদের বেশিরভাগই সমুদ্র পথে অবৈধভাবে ইউরোপ গমনের উদ্দেশে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের অধিকাংশই লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। অবৈধভাবে এই ভয়ংকর পথ পাড়ি দিয়ে আর যেন কেউ লিবিয়াতে না যায় এ বিষয়ে তাদের সচেতন হওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা সবাইকে অনুরোধ জানান। আইওএম-এর পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনকৃত প্রত্যেককে হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সামগ্রী, প্রাথমিক চিকিৎসা ও প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়।

এসব বাংলাদেশির বেশির ভাগই সমুদ্রপথে অবৈধভাবে ইউরোপ যাওয়ার জন্য মানব পাচারকারীদের প্ররোচনায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন। তাদের বেশির ভাগই লিবিয়ায় বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। অবৈধভাবে এই পথ দিয়ে লিবিয়ায় না যেতে সবাইকে সচেতন হওয়ার অনুরোধ জানান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। আইওএমের পক্ষ থেকে সবাইকে নগদ টাকা, খাদ্যসামগ্রী ও প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।