লুটপাট করার জন্যই বিদ্যুতসহ সবকিছুর দাম বাড়িয়েছে সরকার। গণশুনানি না করে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি করেছে। লুটপাটের সকল দায় জনগণের ওপর চাপিয়েছে বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশে তিনি এ দাবি করেন। বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে সুদের হার বাড়িয়ে আইএমএফকে খুশি করতে চায় সরকার। মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু বলেছেন এই দেশে গণতন্ত্র নাই। তারা সুষ্ঠু নির্বাচন চায়।

আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে দশ দফা ও বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে রাজধানীর নয়াপল্টনে এই বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে ঢাকা মহানগর বিএনপি। এতে যোগ দিয়ে বিএনপি’র সিনিয়র নেতারা অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীনদের অপশাসনে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা সর্বনিম্নে এসে ঠেকেছে। কিন্তু জনগণের সমস্যার সমাধান না করে উল্টো দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করা হচ্ছে।

১০ দফার পাশাপাশি বিদ্যুতের দাম কমানোর দাবিতে রাজধানীসহ সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে বিএনপি। দেশ রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধে ক্ষমতাসীনদের হটানোর কোনো বিকল্প নেই বলেও দাবি করেন তারা। নয়াপল্টনের সমাবেশ থেকে আগামী ২৫শে জানুয়ারি সারাদেশে আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। এদিকে, চট্টগ্রামে পুলিশের সাথে সংঘর্ষে সমাবেশ পন্ড হয়ে যায়।

মিছিল পূর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, দেশ রক্ষা করতে হলে মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতান্ত্রিক কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারকে হটাতে হবে। দাবি আদায়ে দেশব্যাপী আবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেন তিনি।

পরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে ফকিরাপুল হয়ে আবারও কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়।

এদিকে, ঢাকা ছাড়াও সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলা সদরেও একই দাবিতে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় বিএনপি। চট্টগ্রামে বিক্ষোভ মিছিল শুরুর সময় নগরীর কাজীর দেউরী এলাকায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে বিএনপি’র নেতাকর্মীরা। কয়েকটি যানবাহনে আগুন দেয়া ও ভাঙচুর চালানো হয়। পুলিশ লাঠিচার্জ ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

এছাড়া, রংপুর, পঞ্চগড়, ঝিনাইদহ, ঝালকাঠি, নাটোর, পাবনা, নেত্রকোনা, সাতক্ষীরাতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মিছিল করেছে স্থানীয় বিএনপি’র নেতাকর্মীরা।