বিদ্যুৎখাতে সরকারের লুটপাট-দুর্নীতির কারণেই সারাদেশে নজিরবিহীন  লোডশেডিং চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, উন্নয়নের প্রচার চালানো হলেও ক্ষমতাসীনদের আসল চেহারা উন্মোচন হয়ে গেছে। আজ রোববার (৯ই অক্টোবর) সকালে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব বলেন রিজভী।

এসময় তিনি জানান, সরকারের এজেন্ডা বাস্তবায়নে নীল নকশা আঁটছে নির্বাচন কমিশন। জেলা প্রশাসক-পুলিশ সুপারদের যত নির্দেশনাই দেয়া হোক, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া আগামীতে কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দেয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে।

এ সময় সরকারের সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রিজভী বলেন, ‘গত ১৪ বছর ধরে গণতন্ত্রকামী মানুষকে গুম-খুন-অপহরণ করে, হামলা মামলা নির্যাতন আর বিরোধী দলের সভা সমাবেশে গুলি চালিয়ে মানুষ হত্যা করে ক্ষমতা আঁকড়ে রেখেছে রাতের সরকার। ২০১৪ সালে জাতীয় নির্বাচনের আগেই সরকার গঠনের জন্য বিনা ভোটে ১৫৪ জনকে এমপি ঘোষণা দিয়েছিল আওয়ামী লীগ। নির্বাচনের নামে প্রহসনের ধারাবাহিকতায় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর জাতীয় নির্বাচনের আগের রাতেই অর্থাৎ ২৯ ডিসেম্বর দিবাগত নিশিরাতে জনগণের ভোট ডাকাতি করে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে আওয়ামী লিগ অবৈধভাবে গঠন করে রাতের সরকার। আর অবৈধভাবে টিকে থাকতে গিয়ে গুম, ক্রসফায়ার ও প্রতিহিংসামূলক মামলাকে বিরোধী দল দমনের প্রধান হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে।’

সংবাদ সম্মেলনে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘সত্য প্রকাশ বন্ধের জন্য নতুন নতুন ফরমান জারি করা হচ্ছে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে আইন করে দূর্নীতিকে আড়াল করতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়সহ রাষ্ট্রের ২৯টি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে। শুধুমাত্র দুর্নীতির সুযোগ সৃষ্টির জন্যই এই পরিপত্র জারি করা হয়েছে।’

বাংলাদেশের একমাত্র রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল বিটিভি প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এই টেলিভিশন চ্যানেলটির পেছনে প্রতিবছর ব্যয় হয় ১৮০-২২০ কোটি টাকা, কিন্তু আয় হয় ৮০-১০০ কোটিরও কম। বছরে চ্যানেলটির লোকসান ১০০ কোটি টাকার বেশি।’