লেবাননে হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েলে। গত ২৪ ঘণ্টায় লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি বোমা হামলায় ১০৫ জন নিহত হয়েছেন। প্রথমবারের মতো রোববার রাজধানী বৈরুতে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। সেখানকার দক্ষিণাঞ্চলীয় কোলা এলাকায় এই হামলা হয়। খবর আল জাজিরা, রয়টার্সের
লেবাননের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরাইলের অবিরাম হামলার কারণে আরও একটি রক্তাক্ত দিনের স্বাক্ষী হয়েছে লেবানন। রোববার দিনভর লেবাননজুড়ে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। ধ্বংস করেছে একের পর এক আবাসিক ভবন। হামলায় এদিন শতাধিক মানুষ নিহত হন।
লেবাননের রাজনৈতিক নেতারা ইমরাইলি এই হামলা ও হত্যাকাণ্ডকে “গণহত্যা” বলে উল্লেখ করেছেন। দক্ষিণ সিডনের কাছে আইন আল-দেলবে একটি হামলায় দুটি আবাসিক ভবনকে সম্পূর্ণ ধ্বংস হয়ে গেছে। নিহতদের মধ্যে ঘটনাস্থলে আশ্রয় নেয়া অনেক বাস্তুচ্যুত পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন।
লেবাননে স্থল আক্রমণেরও প্রস্তুতি নিচ্ছে ইসরাইলি বাহিনী। ইসরাইলের সৈন্যরা সামরিক সরঞ্জাম এবং যানবাহন সহ লেবানন সীমান্তের কাছে জড়ো হচ্ছে। ইসরাইলি বিমান হামলা থেকে পালিয়ে দক্ষিণ লেবাননের অনেক পরিবার এখন বৈরুতের রাস্তায় বসবাস করছে। ইতোমধ্যে ১০ লাখ মানুষ লেবাননের বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে, ইসরাইলের দাবি, যে বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হয়েছেন, তাতে প্রতিরোধ গোষ্ঠীটির ২০ জনের বেশি সদস্য নিহত হয়েছে। লেবাননে হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহর পাশাপাশি ইরানের আইআরজিসির কুদস ফোর্স শাখার এক শীর্ষ কমান্ডার নিহত হয়েছেন। এই হত্যার কঠিন জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগছি।