শক্তিশালী পাসপোর্ট সূচকে বাংলাদেশের পাঁচ ধাপ উন্নতি হয়েছে। মঙ্গলবার (১৮ই জুলাই) যুক্তরাজ্যভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স- এর প্রকাশিত নতুন সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৬ তম।

এর আগে গত ১০ই জানুয়ারি পাসপোর্ট সূচক প্রকাশ করেছিলো ‘হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স। সেখানে বাংলাদেশের অবস্থান ছিলো ১০১তম।

কোন নির্দিষ্ট দেশের পাসপোর্টধারীরা কতগুলো দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন তার ওপর নির্ভর করে তৈরি করা হয় এই সূচক। নতুন সূচকে দেখা যাচ্ছে, ৪০টি দেশে ভিসা ছাড়া বা অন অ্যারাইভাল ভিসা দিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা।

হ্যানলি অ্যান্ড পার্টনার্স-এর সূচক অনুযায়ী বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পাসপোর্ট সিঙ্গাপুরের। দেশটির পাসপোর্টধারীরা ১৯২টি দেশে ভিসা ছাড়া ভ্রমণ করতে পারেন। গত ৫ বছর ধরে শীর্ষস্থানে থাকা জাপানকে এবার পেছনে ফেলেছে সিঙ্গাপুর। আর জাপান নেমে গেছে তৃতীয় স্থানে।

২০২২ সালের তালিকার দ্বিতীয় স্থানে জার্মানি ও দক্ষিণ কোরিয়া। তালিকায় দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে ভারতীয় পাসপোর্ট ৮৩তম স্থানে আছে। ভারতের পাসপোর্ট দিয়ে ৬০টি দেশে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়া যায়।

ভুটানের পাসপোর্ট দিয়ে ৫৩টি দেশে ভিসা-মুক্ত বা অন-অ্যারাইভাল ভিসা নিয়ে প্রবেশ করা যায়। ২০২২ সালের র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশটি ৯০তম স্থানে আছে।

সূচকে ১০২তম অবস্থানে থেকে শ্রীলঙ্কা বাংলাদেশের চেয়ে একধাপ এগিয়ে আছে। দেশটির পাসপোর্ট ৪১টি দেশে ভিসা-মুক্ত বা অন-অ্যারাইভাল ভিসা দিয়ে প্রবেশের সুযোগ দেয়।

নেপাল ১০৫তম, পাকিস্তান ১০৮তম ও আফগানিস্তান ১১১তম হয়ে আগের বছরের র‍্যাঙ্কিংয়ের মতো এবারও বাংলাদেশের পেছনে আছে।

মিয়ানমারে সামরিক শাসন চললেও দেশটির পাসপোর্ট দিয়ে ৪৭টি গন্তব্যে অন-অ্যারাইভাল ভিসা পাওয়া যায়। র‍্যাঙ্কিংয়ে দেশটির অবস্থান ৯৭তম।

২০০৬ সালে বাংলাদেশের পাসপোর্টের র‌্যাঙ্কিং ছিল ৬৮তম এবং তারপর থেকে এটি ক্রমাগত দুর্বল হতে থাকে।

বাংলাদেশি পাসপোর্টধারীরা ভিসা ছাড়া ৪০টি দেশে যেতে পারে। ২০২০ সালে এই সংখ্যা ছিল ৪১।