চীন-তাজিকিস্তান সীমান্তে ৭ দশমিক ২ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার সকালে এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়  বলে জানায় চীনা রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জিনজিয়াং।

জিনজিয়াং বলছে, উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলের সীমান্তের কাছে ৭.২ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। প্রাথমিক ভূমিকম্পের প্রায় ২০ মিনিট পরে একটি ৫.০-মাত্রার আফটারশক অনুভূত হয়। তবে এতে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর এখনো পাওয়া যায়নি।

আন্তর্জাতিক একাধিক সংবাদমাধ্যম তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, তাজিকিস্তানের পূর্বাঞ্চলে ৬ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। তবে চীনের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা জানিয়েছে, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির মাত্রা ৭ দশমিক ২। স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৫টায় এই ভূমিকম্প অনুভূত হয়। এর উৎপত্তি ছিল মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে। এর কেন্দ্রস্থল আফগানিস্তান ও চীনের সীমান্তবর্তী আধা-স্বায়ত্তশাসিত পূর্বাঞ্চলীয় গোর্নো-বাদাখশানে ছিল।

চীনের ভূমিকম্প নেটওয়ার্ক কেন্দ্রের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন সিসিটিভি জানিয়েছে, তাজিকিস্তানে সকাল ৮টা ৩৭ মিনিটে প্রায় ৭.২ মাত্রার একটি ভূমিকম্প হয়েছে।

সিসিটিভি আরও জানিয়েছে, ভূমিকেন্দ্রটির কেন্দ্রস্থল ছিল চীনের নিকটতম সীমান্ত থেকে প্রায় ৮২ কিলোমিটার দূরে এবং জিনজিয়াং অঞ্চলের পশ্চিমাঞ্চলের কাশগড় ও আর্টাক্সে তীব্রভাবে কম্পন অনুভূত হয়েছে।

বার্তাসংস্থা এপির বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, বৃহস্পতিবার সকালে তাজিকিস্তানে আঘাত হানা ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৬.৮। সংবাদমাধ্যমটি বলছে, চীনের সুদূর পশ্চিমাঞ্চলীয় জিনজিয়াং অঞ্চলের কাছে বৃহস্পতিবার সকালে তাজিকিস্তান ৬.৮ মাত্রার ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে।

এর আগে গত ৬ ফেব্রুয়ারি ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়া। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ হাজার ৫০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে কেবল তুরস্কেই প্রাণ হারিয়েছেন ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ। আহত হয়েছেন আরও লাখ লাখ মানুষ।