নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে হেরেছে বাংলাদেশ। ডানেডিনের সেই ম্যাচে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বল হাতেও বাজে পারফর্ম্যান্স করেছিলেন সৌম্য সরকার। নিউজিল্যান্ড সিরিজে তার দলে জায়গা পাওয়া নিয়েই প্রশ্ন উঠেছিল। এরপর প্রথম ওয়ানডেতে চরম ব্যর্থ হওয়ার পর সমালোচনাটা আরও বাড়ছিল।
সেই সৌম্যই আজ জ্বলে ওঠেছেন দীর্ঘদিনের ব্যর্থতার বৃত্ত ভেঙে। ক্রিকেট মাঠে সম্ভাবনার আলো জ্বেলে তিনি হারিয়ে গিয়েছিলেন, তবে আজ তিনি ফিরেছেন চেনা ছন্দে। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে কিউইদের বিপক্ষে এই টাইগার ব্যাটারের খেলা অনবদ্য ১৬৯ রানের ইনিংসের সুবাদেই ৪৯.৫ ওভারে ২৯১ রান করে অল আউট হয় বাংলাদেশ।
দেশের ক্রিকেটে ওয়ানডে ইতিহাসে যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান। একটুর জন্য লিটন দাসকে (১৭৬) ছাড়াতে পারলেন না সৌম্য। তবে এরই মধ্যে হয়েছে আরেক বিরল রেকর্ড। যাতে পেছনে পড়ল কিংবদন্তি শচীন টেন্ডুলকারের এক রেকর্ডও। নিউজিল্যান্ডের মাঠে এশিয়ান ব্যাটারদের মধ্যে এখন সর্বোচ্চ রানের ইনিংস সৌম্য সরকারের। ২০০৯ সালে শচীনের করা ১৬৩ রান এখন নেমে গেছে দুইয়ে।
অন্য ব্যাটারদের আসা যাওয়ার মিছিলে একপ্রান্ত আগলে রেখে দুর্দান্ত ব্যাটিংই করেছেন সৌম্য। বিগত দিনগুলোতে যেসব কারণে সমালোচিত হয়েছেন, সেখানেই আজ দেখা গিয়েছে উন্নতির গ্রাফ। দুইবার লাইফ পেয়েছেন কিউই বোলারদের কল্যাণে। আর সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজেও লাগিয়েছেন তিনি। নিজের ইনিংস টেনে নিয়েছেন ১৬৯ পর্যন্ত।
বাংলাদেশের জার্সিতে চার বছর পর ফিফটির করা সৌম্য ১১৬ বল খেলে আজ নিজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক তুলে নিয়েছেন। পাঁচ বছর শতক হাঁকানো সৌম্য শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ১৫১ বলে ১৬৯ রান করে, ২২টি চারের পাশাপাশি হাঁকিয়েছেন ২টি ছয়। দেড়শ ছাড়ানো ইনিংস খেলে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশি ব্যাটার হিসেবে সর্বোচ্চ রানের ইনিংস খেলার রেকর্ড গড়েছেন তিনি। আগের রেকর্ডটি ছিল মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের, তিনি করেছিলেন ১২৮ রান।
এদিকে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এশিয়ান কোনো ওপেনারের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংসটি ছিল শচীন টেন্ডুলকারের। সাবেক এই ভারতীয় ওপেনার করেছিলেন ১৬৩ রান। আজ ১৬৯ রান করে শচিনের সেই রেকর্ড ভেঙেছেন সৌম্য। একই সঙ্গে বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশি কোনো ব্যাটারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসও এখন এটিই।