গাজার দক্ষিণাঞ্চলের রাফা শহরে একটি শরণার্থী শিবিরে ভয়াবহ বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরাইল। এতে ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের অনেকেই নারী ও শিশু।
এ হামলায় আহত হয়েছে শতাধিক মানুষ। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী কয়েকটি শরণার্থী শিবির লক্ষ্য করে দফায় দফায় বিমান হামলা চালিয়েছে।
এই গণহত্যার নিন্দা জানিয়ে ফিলিস্তিনের কর্তৃপক্ষ বলেছেন, রাফায় হত্যাযজ্ঞ বন্ধে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের নির্দেশ অমান্য করেই হামলা চালাচ্ছে ইসরাইল।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, রাফাতে ইসরায়েলি বিমান হামলার ফলে কমপক্ষে ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে এবং আরও বহু মানুষ আহত হয়েছেন।
মন্ত্রণালয় আরও বলছে, নিহতদের বেশিরভাগই বাস্তুচ্যুত নারী ও শিশু যাদের ওপর ‘গণহত্যার হাতিয়ার’ দিয়ে হামলা চালানো হয়েছে। এসব মানুষ আগে থেকেই পানি, খাদ্য, ওষুধ, বিদ্যুৎ এবং জ্বালানি থেকে বঞ্চিত ছিল।
আল জাজিরা বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনী রাফা শহরের একটি পরিকল্পিত নিরাপদ অঞ্চলে বাস্তুচ্যুত লোকদের তাঁবু ক্যাম্পে বোমা হামলা চালিয়েছে।
তাল-আস-সুলতান এলাকায় এই হামলা এমন এক সময়ে হলো যখন ইসরায়েলি বাহিনী গত ২৪ ঘণ্টায় জাবালিয়া, নুসেইরাত এবং গাজা সিটিসহ গাজার বিভিন্ন এলাকায় বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বোমাবর্ষণ করেছে এবং ফিলিস্তিনি কর্মকর্তাদের মতে এতে কমপক্ষে ১৬০ জন নিহত হয়েছেন।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছে, তারা ‘নির্ভুল অস্ত্র’ ব্যবহার করে হামাস যোদ্ধাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলি বাহিনী স্বীকার করেছে, হামলায় বেসামরিক লোকজন আহত হয়েছেন এবং এই ঘটনাটি তদন্তাধীন রয়েছে।