চলতি বছরের শেষে ঢাকার শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল আংশিক চালু হবে। এরইমধ্যে অনেকটাই দৃশ্যমান এই টার্মিনাল। প্রকল্পের কাজ এগিয়েছে ৬০ শতাংশ। এটি চালু হলে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে দেশের আকাশপথের যোগাযোগ ব্যবস্থা। ২১ হাজার কোটি টাকারও বেশি ব্যয়ের এই প্রকল্পটির কাজ শুরু হয় ২০১৯ সালের শেষের দিকে।
চোখের সামনেই ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনাল। আকাশপথের তো বটেই, এটি হবে দেশের সামগ্রিক যোগাযোগের বহুমুখী কেন্দ্র। দেশের যে কোন প্রান্ত থেকে বিমানবন্দর রেল স্টেশন, ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে পাতাল ট্রেনে চড়ে কাওলা স্টেশন, সেখান থেকে সুড়ঙ্গপথে যাত্রীরা পৌঁছে যাবেন এই টার্মিনালে। কমলাপুর থেকে পাতাল রেলে বিমানবন্দর পৌঁছাতে পারবেন যাত্রীরা।
তৃতীয় টার্মিনালের কাজ ৬০ ভাগ শেষ হয়েছে। প্রথমে ১২টি বোর্ডিং ব্রিজ নির্মাণের কথা থাকলেও এখন হচ্ছে ২৪টি বোর্ডিং ব্রিজ। আগামী অক্টোবরে তৃতীয় টার্মিনাল আংশিক চালু হবে বলে জানান প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
আজ (মঙ্গলবার) কাজের অগ্রগতি দেখতে যান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী। পরে সাংবাদিকদের তিনি জানান তৃতীয় টার্মিনাল চালু হলে এভিয়েশন খাতে বিপ্লব ঘটবে।
এর আগে প্রতিমন্ত্রী শাহ জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের যাত্রী সেবা কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি যাত্রীদের অভিযোগ শুনে তা সমাধানের জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।