এমপিওভুক্ত বেসরকারি স্কুল-কলেজে শিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে নারী কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২২ মে) প্রকাশিত এক প্রজ্ঞাপনে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিল ঘোষণা করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, বিভিন্ন বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এন্ট্রি লেভেলে শূন্য পদে শিক্ষক নিয়োগ সুপারিশের ক্ষেত্রে মহিলা কোটা থাকবে না; বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (স্কুল ও কলেজ) জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা-২০২১-এর পরিশিষ্ট-ঘ এর (ক)-এ বিদ্যালয় অংশের ক্রমিক ২৪-এ ‘সহকারী শিক্ষক (শারীরিক শিক্ষা)’ পদের বিষয়ে এবং (খ)-এ কলেজ অংশের ক্রমিক ১৫-এ ‘শরীর চর্চা শিক্ষক’ পদে নিয়োগের নিমিত্তে শিক্ষাগত যোগ্যতা (ন্যূনতম) ও শর্ত অপরিবর্তিত থাকবে।

বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে নারী কোটা বাতিলের এ আদেশ প্রজ্ঞাপন স্বাক্ষরের দিন থেকে কার্যকর হবে বলেও জানিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ।

এসব প্রতিষ্ঠানে এতদিন মোট শিক্ষক পদের মধ্যে শহরাঞ্চলে ৪০ শতাংশ এবং মফস্বল অঞ্চলে ২০ শতাংশ পদে নারী প্রার্থী নিয়োগ বাধ্যতামূলক ছিল।

এর আগে এ বিষয়ে বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষ (এনটিআরসিএ) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে মতামত চেয়ে চিঠি পাঠিয়েছিল। পরে মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে কর্মকর্তারা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ নির্দেশনা অনুসরণ করে এনটিআরসিএর মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগে শুধু ৭ শতাংশ কোটা রাখার পক্ষে মত দেন।

বর্তমানে সরকারি চাকরিতে ৭ শতাংশ কোটা বহাল রয়েছে, যার মধ্যে ৫ শতাংশ বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধার সন্তানদের জন্য, ১ শতাংশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য এবং ১ শতাংশ শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের জন্য সংরক্ষিত। এই নীতিমালার আলোকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও শিক্ষক নিয়োগের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে বেসরকারি শিক্ষক নিয়োগে ৩০ শতাংশ নারী কোটা চালু করা হয়। ২০০৪ সালে বিশ্বব্যাংকের সুপারিশে এটি বাধ্যতামূলক করা হয় বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে। পরে ২০১০ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গোপালগঞ্জসহ কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় নারী কোটা শিথিল করে, অনগ্রসর এলাকায় নারী প্রার্থীর স্বল্পতার কারণে।