জাতিসংঘের নেতৃত্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকার বিষয়ক প্রধান ভলকার তুর্ক। এ লক্ষ্যে জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞদের একটি দল শিগগিরই বাংলাদেশে আসবেন।

বুধবার (১৪ আগস্ট) অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে টেলিফোনে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় প্রফেসর ইউনূস দেশের পুনর্গঠন ও মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে জাতিসংঘের সহযোগিতা কামনা করেন।

প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বিক্ষোভকারীদের হত্যার ঘটনা তদন্তে শিগগিরই জাতিসংঘ কাজ শুরু করবে বলে প্রধান উপদেষ্টাকে ফোনালাপে জানিয়েছেন সংস্থাটির মানবাধিকার প্রধান। তদন্তকাজ শুরু করতে একটি বিশেষজ্ঞ দল অচিরেই বাংলাদেশ সফর করবে।

মুহাম্মদ ইউনূস জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানকে বলেন, তার প্রশাসনের মূলভিত্তি হবে মানবাধিকার এবং প্রতিটি নাগরিকের নিরাপত্তার বিষয়টিতে সরকারের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার রয়েছে।

আর বাংলাদেশে মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে এবং দেশ পুনর্গঠনে জাতিসংঘের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন প্রফেসর মুহম্মদ ইউনূস।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৪০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে।

টেলিফোন আলাপে ভলকার তুর্ক এবং জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেসকে ছাত্র আন্দোলনের নজিরবিহীন হত্যাকাণ্ডের সময় শিক্ষার্থীদের অধিকারকে সমর্থন দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধান উপদেষ্টা।