প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, শিশুদের মানবিক শিক্ষায় গড়ে তুলতে হবে। তাদেরকে দেশপ্রেম, খেলাধুলা ও সংস্কৃতি চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আজ রোববার (১৭ই মার্চ) গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতীয় শিশু দিবসের অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার আমাদের দেশের শিশুদের বেড়ে উঠার সব পথ তৈরি করে দিয়েছে। যার ফলে এখন ৯৮ ভাগ শিশু স্কুলে যায়। তিনি জানান, শিশুকাল থেকেই যাতে দেশের নাগরিকেরা প্রযুক্তিগত শিক্ষা পায় সে ব্যবস্থা করে দিয়েছে তাঁর সরকার।
ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর নির্বিচারে হামলায় শিশু-নারীসহ অসংখ্য মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয় না তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা সবসময় নির্যাতিত মানুষের পাশে আছি। অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকারের কথা বলে সোচ্চার থাকে, পাশাপাশি দেখি তাদের দ্বিমুখী আচরণ। গাজায় যখন শিশু-নারীদের ওপর হামলা চালানো হয়, তখন মানবাধিকার সংস্থাগুলো কোথায় থাকে? তাদের মানবতাবোধ কোথায় থাকে? গাজায় হামলার ঘটনায় জানি না বিশ্ববিবেক কেন নাড়া দেয় না! এটাই আমার প্রশ্ন।’
বরাবরই বাংলাদেশের অবস্থান নিপীড়িতদের পক্ষে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে শিশু অধিকার-মানবাধিকার নিয়ে সোচ্চার থাকেন। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলি হামলায় যখন বহু শিশু মারা যাচ্ছে, তখন বিশ্বমানবতা কোথায়?
আজকের শিশুদের আগামী দিনের উন্নত বাংলা গড়ার কারিগর হিসেবে দেখতে চান জানিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, পড়াশোনার নামে চাপ নয়, মেধা-মননের বিকাশই গুরুত্বপূর্ণ। শিশুরা যাতে সুন্দর পরিবেশে মানুষ হয়, সেদিকে লক্ষ্য রাখছি। শিশুদের ঝরে পড়ার হার কমিয়ে এনেছি। আগামী দিনে স্মার্ট ও উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলার মূল নেতৃত্ব দেবে আজকের শিশু-কিশোররা। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার উপযুক্ত নাগরিক হিসেবে আমরা শিশুদের গড়ে তুলছি। আজকের শিশুরা গড়ে উঠবে স্মার্ট নাগরিক হিসেবে, এটাই আমাদের অঙ্গিকার।
অভিভাবকদের উদ্দেশে সরকারপ্রধান বলেন, ‘মেধা-মননের সুযোগ যাতে শিশুরা পায়, পড়াশোনার নামে চাপ তৈরি করবেন না। সেভাবেই আমরা কারিকুলাম করছি।
অনুষ্ঠানে সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার আর অসচ্ছ্বল মেধাবীদের মধ্য আর্থিক অনুদান দেন প্রধানমন্ত্রী।
এর আগে সকালে টুঙ্গিপাড়ায় আসেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা জানানোর পর কিছু সময় নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর একটি চৌকস দল সশস্ত্র সালাম জানায়। পরে দোয়া ও মোনাজাতে অংশ নেন সরকারপ্রধান।