নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় পাশের বাসার ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে বিবি মরিয়ম (২) নামের একটি শিশু চুরির অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে চাটখিল পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সেন্ট্রাল হাসপাতাল-সংলগ্ন খুরশিদের বাড়ি থেকে শিশু চুরির এ ঘটনা ঘটে।

চুরি হওয়া শিশু লক্ষ্মীপুর জেলার নাহারখালী ইউনিয়নের ৭ নং চাঁদখালী গ্রামের রাকিবুল ইসলাম ও রোমানা বেগমের দম্পতির দ্বিতীয় সন্তান। এ ঘটনায় রাকিবুল ইসলাম মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে চাটখিল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চুরি হওয়া শিশুর বাবা লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা। তিনি চাটখিল পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের খুরশিদ মিয়ার বাড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে পরিবারসহ বসবাস করে আসছেন। তিনি পেশায় একজন রিকশাচালক। ৭ দিন আগে এক নারী তার পাশের একটি বাসা ভাড়া নিয়ে ওই বাসায় ওঠেন। মঙ্গলবার সকালে তার স্ত্রী পারিবারিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সুযোগে অজ্ঞাতপরিচয় ওই নারী তার শিশুকন্যাকে চুরি করে পালিয়ে যান।

রাকিবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, আমি রিকশা চালিয়ে সংসার চালাই। আমার স্ত্রী মানুষের বাড়িতে কাজ করে। আমি সকালে রিকশা নিয়ে বের হয়েছি। আমার স্ত্রী কাজে যাওয়ার সময় ওই নারী আমার শিশুকে আদর করবে বলে রেখে দেয়। আমার স্ত্রী কাজ শেষ করে এসে দেখে ওই ভাড়াটিয়া পালিয়ে গেছে। আমি গরিব-অসহায় মানুষ। মেয়ের জন্য আমার স্ত্রী বারবার জ্ঞান হারিয়ে ফেলছে।

শিশুটির মা রোমানা বেগম বলেন, আমার মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়া ভাড়াটিয়া নারী স্বামীকে নিয়ে থাকতেন। তবে স্বামীকে আমরা কেউ কোনো দিন দেখিনি। তাকে জিজ্ঞাস করলে তিনি বলতেন, ‘শ্বশুরবাড়ির লোকজন খারাপ ব্যবহার করে। তাই স্বামীকে নিয়ে এখানে ভাড়া থাকি। আমার স্বামী চাকরি করে। মাঝরাতে বাসায় ফেরে। তাই ওনাকে আপনারে দেখেন না।’

বাড়ির মালিক মুদি দোকানি মো. খুরশিদ  বলেন, আমি চাটখিল বাজারে মুদি ব্যবসা করি। আমার মুঠোফোনে বাসা ভাড়ার জন্য সাত দিন আগে ওই নারী ফোন দেন। আমি তাকে বাসার চাবি দেওয়ার সময় কাগজপত্র দিতে বলেছি। তিনি আমাকে দেবেন বলেছেন। কিন্তু কাগজপত্র না পাওয়ায় তার বিষয়ে কোনো তথ্য আমার কাছে নেই।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, যে অভিযোগটি করা হয়েছে, আমরা সেটি নিয়ে অনুসন্ধান করছি। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে।