বিশ্বের মানুষকে ভার্চুয়ালি একত্র করেছেন আজ তার জন্মদিন। ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা  মার্ক জুকারবার্গের জন্মদিন আজ। ১৯৮৪ সালের ১৪ই মে এই দিনে নিউইয়র্কে জন্মগ্রহণ করেন এই তরুণ প্রযুক্তিবিদ।

নিউইয়র্কের হোয়াইট প্লেইন এলাকাতে মনোচিকিৎসক ক্যারেন ও দন্তচিকিৎসক অ্যাডওয়ার্ড জুকারবার্গের ঘরে জন্ম নেন তিনি। কলেজে মহাকাব্যিক কবিতার লাইন থেকে আবৃত্তি করার জন্য পরিচিতি পেয়েছিলেন মাত্র ২৬ বছর বয়সে । এছাড়া টাইম ম্যাগাজিনের দৃষ্টিতে বছরের সেরা ব্যক্তিত্বরূপে নির্বাচিত জুকারবার্গ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একই প্ল্যাটফর্মে রাখার চিন্তা থেকে ফেসবুকের গোরাপত্তন। তবে  ওয়েবসাইটির যাত্রা শুরু হয় ফেসম্যাশ নামে। এখন বিশ্বের ১২০ কোটিরও বেশি মানুষ এখন এই নেটওয়ার্কে যুক্ত।

ফেসম্যাশ চালু করা হয়েছিল সহজে শিক্ষার্থীদের মাঝে ছবি বা মনের ভাব অন্যের সঙ্গে শেয়ার করার লক্ষ্যে। তারিখটা ২৮ অক্টোবর, ২০০৩।

শুরুর দিনই চার ঘণ্টায় ৪৫০ ভিজিটর ২২০০০ ছবি তুলে সেদিন ডাউন করে দেয় হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্ভার।

তবে থেমে থাকেনি ফেসম্যাশ। শুরু হয় নিজস্ব কোডিং তৈরির চেষ্টা। মার্ক জুকারবার্গকে সহায়তা করেন তারই বন্ধু কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থী অ্যাডওয়ার্ডো সেভারিন, ডাস্টিন মস্কোভিতস এবং ক্রিস হিউজেস।

২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হার্ভার্ডের ডরমিটরিতেই ‘দি ফেসবুক’ নামে আরেকটি সাইট চালু হয়। তার বছরখানেক বাদে উঠে যায় ‘দি’। থাকে শুধু ফেসবুক, আর তারপর এক সাধারণ তরুণের অসাধারণ হয়ে ওঠার গল্প।

কোম্পানি হিসেব থেকে ২০১২ সালে পাবলিক লিমিটেড প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ফেসবুক আর মার্ক পেয়ে যান বিলিওনিয়ার খ্যাতি।

গবেষণা প্রতিষ্ঠান ইমার্কেটারের তথ্য অনুযায়ী, ডিজিটাল বিজ্ঞাপনে আয়ের দিক থেকে বর্তমানে গুগলের পরের অবস্থানেই রয়েছে ফেসবুক। এছাড়া, মোবাইল বিজ্ঞাপন থেকেও ফেসবুকের আয় বাড়ছে প্রতিদিনই।

প্রযুক্তি দুনিয়ায় ৩০ বছর বা এর কম বয়সী তরুণ প্রযুক্তি উদ্যোক্তাদের মধ্যে শীর্ষে আছেন সামাজিক যোগাযোগের জনপ্রিয় ওয়েবসাইট ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ৩০ বছর বয়সী জুকারবার্গ।

বিস্ময়করভাবে গত এক দশকেই জুকারবার্গ পাল্টে দিয়েছেন যোগাযোগের সংজ্ঞা।