বিশ্বের ২০টি বৃহৎ অর্থনীতির দেশের জোট জি-২০ এর সম্মেলন মঙ্গলবার (১৫ই নভেম্বর) শুরু হলো। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে বিশ্বের ১৯টি শীর্ষ ধনী দেশের এই জোটের শীর্ষ সম্মেলন চলছে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে। এর আগে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন বিশ্বনেতারা।

সম্মেলনে গিয়ে সোমবার (১৪ই নভেম্বর) বৈঠক করেছেন দুই পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বলা হচ্ছে, জো বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পর এ সম্মেলনে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বিশ্বের খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়টিকে। সম্মেলন শুরু হওয়ার আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে কথা বলেছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁও।

যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের ফলে সারাবিশ্বে যে খাদ্য সংকট তৈরি হয়েছে সেটি নিরসনে খাদ্যনিরাপত্তার বিষয়টি প্রাধান্য পাবে এই সম্মেলনে।

চীনের গণমাধ্যমগুলো বলছে, সোমবার জো বাইডেন ও শি জিনপিংয়ের মধ্যে যে পার্শ্ব বৈঠক হয়েছে তাতে বাইডেন জানিয়েছেন তিনি দেশ দুটির মধ্যে সংঘাত দেখতে চান না। অপরদিকে, তাইওয়ান বিতর্কে চীনের স্বার্থরক্ষার ক্ষেত্রে কোনও রকম আপস করা হবে না, দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বাইডেনকে স্পষ্ট ভাষায় এমনটা জানিয়ে দিয়েছেন শি জিনপিং।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ­লাদিমির পুতিন এবার সরাসরি জি-২০ সম্মেলনে অংশ নিচ্ছেন না। তিনি ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশ নেবেন কিনা সেটিও অনিশ্চিত। তবে রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভ মঙ্গলবার সকালে পৌঁছেছেন বালিতে। অন্যদিকে, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ভার্চুয়ালি বৈঠকে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। যদিও দেশটি এই জোটের সদস্য নয়।

ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো জি-২০ সম্মেলন সফল করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিশ্বনেতাদের বরণ করে নিতে জমকালো আয়োজনের ব্যবস্থাও রেখেছেন তিনি।