গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় ও রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি জঙ্গি সংগঠন হুজিবি’র প্রতিষ্ঠাতা আমীর মুফতি আব্দুল হাইকে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। আজ বুধবার (২৫শে মে) রাতে র‌্যাব হেডকোয়ার্টার্সের আইন ও গণমাধ্যম শাখার প্রধান কমান্ডার খন্দকার আল মঈন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গ্রেপ্তার আমির মুফতি আব্দুল হাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হুরকাতুল জিহাদ বাংলাদেশের (হুজিবি) প্রতিষ্ঠাতা আমির। গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় বোমা হামলা ও রমনা বটমূলে বোমা হামলা মামলা ছাড়াও আরো একাধিক মামলায় যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি তিনি।

এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার (২৬শে মে) কাওরান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান, কমান্ডার খন্দকার আল মঈন ।

২০০০ সালের ২০ জুলাই গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশস্থলের পাশে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ৭৬ কেজি ওজনের বোমা পুঁতে রাখা হয়। শেখ লুৎফর রহমান মহাবিদ্যালয়ের উত্তর পাশের একটি চায়ের দোকানের পেছনে এ বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে শেখ হাসিনাকে হত্যার পরিকল্পনা করা হয়েছিল বলে তদন্তে উঠে আসে। এ ঘটনায় তৎকালীন কোটালীপাড়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর হোসেন মামলা করেন।

এছাড়া ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল (পহেলা বৈশাখ ১৪০৮ বঙ্গাব্দ) ভোরে রমনার বটমূলে সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠানস্থলে দুটি বোমা পুঁতে রাখা হয়। পরে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয় সেগুলোর। ওইদিন বর্ষবরণের অনুষ্ঠান চলাকালে সকাল ৮টা ৫ মিনিটে একটি ও ১০টা ১৫ মিনিটের পর অন্য বোমাটি বিস্ফোরিত হয়।

নিষিদ্ধঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হরকাতুল জিহাদের (হুজি) ওই বোমা হামলায় প্রাণ হারান ১০ জন। আহত হন আরও অনেকেই। এ ঘটনায় হুজি নেতা মুফতি হান্নানসহ ১৪ জনকে আসামি করে ওইদিনই রমনা থানার পুলিশ বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করে।