কয়েকদিনের টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে শেরপুরের ভোগাই ও চেল্লাখালি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ঝিনাইগাতীর মহারশি ও নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর পানি বেড়ে গিয়ে নিম্নাঞ্চলের শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ঝিনাইগাতীর মহারশি নদীর বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভেঙে ও উপচে উপজেলা সদর বাজার, বিভিন্ন গ্রাম ও রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে। বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা শহরে পানি প্রবেশ করে ডুবে গেছে প্রধান সড়ক, বাজারের অলিগলি ও অফিসসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। আকস্মিক ঢলের পানিতে প্লাবিত হওয়ায় বিপাকে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। রাতভর বৃষ্টিতে প্লাবিত হয় নিম্নাঞ্চলের প্রায় অর্ধ শতাধিক গ্রাম। সেই সঙ্গে পানিতে ডুবে গেছে শতশত পুকুর, সবজি ক্ষেত ও ধানের ক্ষেত। এখনো বৃষ্টি চলমান থাকায় নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শেরপুরের নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর দুই পাড়ের কয়েকটি স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে বন্যা পরিস্থিতি আরও অবনতি হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
এদিকে নালিতাবাড়ীর ভোগাই নদীর বাঁধ ভেঙে এলাকায় পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন মানুষ।
অপরদিকে শ্রীবরদীর সীমান্তবর্তী ভারত থেকে নেমে আসা সোমেশ্বরী নদীর পানিও বৃদ্ধি পাচ্ছে। বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকলে চরম বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।