নাটকীয় ম্যাচের শেষ ওভারে এসে তামিমের বরিশালকে ১ উইকেটে হারালো সাকিবের রংপুর রাইডার্স। খেলার ৩ বল বাকি থাকতে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় দলটি। ফরচুন বরিশালের বিপক্ষে ১৫২ রানের টার্গেট তাড়া করতে নেমে টানটান উত্তেজনাকর ম্যাচে জয় রংপুরের জয়। এই জয়ে ৯ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট অর্জন করল রংপুর।

সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ১৫২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে মমিনুল হকের উইকেট হারালেও এরপর ব্রেন্ডন কিং এবং সাকিব উড়ন্ত সূচনা এনে দেন রংপুর রাইর্ডাসকে। ম্যাচের ৬ষ্ঠ ওভারের শেষ বলে ব্রেন্ডন কিং কে আউট করে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। দলের স্কোর তখন ২ উইকেট হারিয়ে ৭৪ রান। এরপর দ্রুত উইকেট হারাতে শুরু করে রংপুর। ১৫ বলে ২৯ রান করে সাকিব আউট হন। তার উইকেটটিও নেন মেহেদি মিরাজ। অধিনায়ক সোহান মাত্র ২ রান করে মহারাজের বলে আউট হয়ে ফিরেন।

তারপর ব্যাটিং এর হাল ধরেন জিমি নিশাম এবং টম মরিস। ১৭ বলে ২৮ রান করেন নিশাম। ১৭ বলে ১৭ রান করেন টম মরিস।এরপর কেউই আর দলের হাল ধরতে পারেননি। ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। বরিশালের পক্ষে মেহেদি এবং ওবেদ ৩ টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট নেন কেইলি। আরেকটি উইকেট শিকার করেন মহারাজ।

এর আগে আশা জাগিয়েও বড় রান করতে পারেনি তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশাল। প্রথমে ভালো শুরু করলেও রংপর রাইডার্সের আবু হায়দার রনির বোলিং তান্ডবে ৯ উইকেটে ১৫১ রানেই থেমে যায় বরিশালের ইনিংস। মাত্র ১২ রান দিয়ে ৪ ওভারে ৫ উইকেট শিকার করেন রনি।

টসে জিতে ব্যাট করতে নেমেছিলো জাতীয় দলের তারকাদের নিয়ে সাজানো ফরচুন বরিশাল। মাঠে নেমে দুই ওপেনার তামিম এবং টম বেনটন ধীরে-সুস্থে ইনিংস এর সূচনা করেন। ক্রিজে থিতু হতে খানিকটা সময় নেন দুজনেই।

রংপুরের হয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। তার বলে মমিনুলের তালুবন্দি হন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম। ২০ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলে তিনি।

ওয়ান ডাউনে নামা কেইলি মায়ের্স শুরু থেকেই হাত খুলে খেলতে শুরু করেন। দলের ১১০ রানের সময় দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটে। ২৪ বলে ২৬ রান করে আউট হন টম বেনটন।

কেইলি যখন একপাশে ব্যাট হাতে ঝড় তুলছিলেন, অন্যপাশে তখন ছিলো আসা-যাওয়ার মিছিল। মুশফিকুর রহিম কিংবা সৌম্য সরকার, কেউই নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি।

উইকেট কিপার মুশফিক ৩ বলে ৫ রানে আউট হলেও, সৌম্য সরকার ছিলেন একেবারেই ফ্লপ। গোল্ডেন ডাকের তিক্ত স্বাদ গ্রহণ করেন তিনি।

এরপর কেইলি ২৭ বলে ৪৬ করা সাজঘরে ফেরেন। এদিকে মাত্র ৯ রান করে দলের ১২৫ রানের মাথায় বিদায় নেন সাইলেন্ট কিলার খ্যাত মুহমুদুল্লাহ রিয়াদ। আরেক ব্যাটার মেহেদি হাসান মিরাজ ৮ বলে ৩ রান করেন।

আবু হায়দার রনি ৫ উইকেটের পাশাপাশি হাসান মাহমুদ দুটি এবং সাকিব আল হাসান ও নিশাম একটি করে উইকেট লাভ করেন রংপুরের পক্ষে।