প্রথম দুই ম্যাচে দাপুটে জয়ের পর তৃতীয় ম্যাচে মুখ থুবড়ে পড়ল বাংলাদেশ। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়লো তাদের ব্যাটিং লাইনআপ। পাকিস্তানের দেওয়া বড় লক্ষ্যের জবাবে ব্যাট করতে নেমে দুই অঙ্কের ঘর পেরোতে পারে কেবল দুই ব্যাটার। এর মধ্যে একাই লড়াই করেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। যদিও জেতাতে পারেননি দলকে। তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে আজ বাংলাদেশকে ৭৪ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান টাইগার অধিনায়ক লিটন কুমার দাস। আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে তারা সংগ্রহ করে ১৭৮ রান। যা তাড়া করতে নেমে ১০৪ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ।

রান তাড়া করতে মাঠে নেমে শুরু থেকেই পাকিস্তানের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে লিটনরা। দলের খাতায় কোনো রান যোগ করার আগেই সালমান মির্জার বলে কট বিহাইন্ড হন তানজিদ হাসান তামিম। পরের ওভারে ফাহিম আশরাফের বলে বোল্ড হন অধিনায়ক লিটন দাস। ৮ বলে ৮ রান করেন তিনি। পাওয়ার প্লে-র মধ্যে আরও ৩ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকেই ছিটকে যায় স্বাগতিকরা। ৮ বলে ৯রান করে মেহেদী হাসান মিরাজ, ২ বলে ১ রান করেন জাকের আলী আর শূন্য সাজঘরে ফিরেন শেখ মেহেদী।

বিপর্যয়ের সময় হাল ধরতে ব্যর্থ হন শামীম হোসেন ও মোহাম্মদ নাঈম। ৫ বলে ৫ রান করে সালমান আলীর বলে ইনসাইড এজ হয়ে শামীম বোল্ড হন। অন্যদিকে ওপেনিংয়ে নামা নাঈম ১৭ বলে ১০ রান করে সাজঘরের পথ ধরেন। তাতে ৪১ রানের মধ্যে ৭ উইকেট হারিয়ে হার নিশ্চিত করে ফেলে লিটনরা। শেষ পর্যন্ত ৩৪ বলে ২ ছক্কা ও ২ চারের মারে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার ইনিংসে কমে হারের ব্যবধান। ১৯ রান খরচায় পাকিস্তানের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সালমান। ২টি করে উইকেট নিয়েছেন ফাহিম আশরাফ ও মোহাম্মদ নাওয়াজ।

এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে আজ পাকিস্তানের শুরুটা হয়েছে দুর্দান্ত। একাদশে জায়গা পেয়েই নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন ফারহান। তার মারকুটে ইনিংসের সুবাদেই। ওপেনিং জুটিতে ৮২ রানের দেখা পায় পাকিস্তান। এর বেশিরভাগ রানই করেছেন ফারহান। ১৫ বলে ২১ রান করে সাজঘরে ফিরেন সাইম আইয়্যুব।

এদিকে মারকুটে ইনিংস খেলা ফারহান ২৯ বলে ফিফটি করার পর শেষ পর্যন্ত আউট হন ৪১ বলে ৬৩ রান করে। সাইমের মত তিনিও আউট হন নাসুম আহমেদের বলে। এরপর মোহাম্মদ হারিসকে সাজঘরের পথ দেখান তাসকিন।

ফারহান ছাড়াও আগ্রাসী ইনিংস খেলেছেন হাসান নওয়াজ। তিনি আজ করেছেন ১৭ বলে ৩৩ রান। শরিফুলের বলে আউট হন তিনি। এদিকে পাকিস্তান শেষ পর্যন্ত বড় সংগ্রহ পায় মোহাম্মদ নওয়াজের মারকুটে ইনিংসের সুবাদে।

পাকিস্তানি এই ব্যাটার খেলেছেন ১৬ বলে ২৭ রানের ইনিংস। তাসকিনের বলে আউট হলেও তার দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সেই নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৭৮ রানের সংগ্রহ পায় পাকিস্তান।