কয়েক দিন ধরেই তীব্র শীতে কাঁপছে সারাদেশ। দিন কিংবা রাত, কুয়াশার দাপট সবসময়ই। অনেক জেলায়ই দেখা মিলছে না সূর্যের। সঙ্গে ঘন কুয়াশা ও হিমেল বাতাস শীতের মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে। দেশের বিভিন্ন স্থানে এমন পরিস্থিতি চলছে প্রায় সপ্তাহ ধরে। কনকনে ঠান্ডায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। ভোগান্তি বেশি ছিন্নমূল ও কর্মজীবীদের।
উত্তরের দুই বিভাগ রংপুর ও রাজশাহী এবং আরও ৭ জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ। তাপমাত্রা কমার পাশাপাশি ঘন কুয়াশা এবং কনকনে ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বেড়েছে।
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে এবং ঠাকুরগাঁওয়ে কয়েকদিন ধরে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে জনজীবন বিপর্যস্ত। তীব্র শীতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষ। ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা। সড়ক-মহাসড়কে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করছে।
লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামে কমছে না ঠান্ডার প্রকোপ। কাজে বের হতে পারছে না, লালমনিরহাটে তিস্তা ও ধরলা পাড়ের মানুষ। তীব্র ঠাণ্ডায় শিশু ও বৃদ্ধরা নানা রকম শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। কুড়িগ্রামেও বিপাকে পড়েছে দিনমজুর ও নিম্ন আয়ের মানুষ। ঘনকুয়াশায় ব্যাহত হচ্ছে কৃষিকাজ।
রাজশাহী বিভাগেও বইছে শৈত্যপ্রবাহ। কনকনে ঠান্ডায় স্থবির জনজীবন। বিশেষ করে দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষ খুব কষ্টে আছেন। শীত উপেক্ষা করেই তাদের কাজের সন্ধানে বের হতে হচ্ছে। নওগাঁ ও জয়পুরহাট জেলায় ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসের কারনে ঘরের বাইরে যাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিপাকে পড়েছে ছিন্নমুল মানুষ।
চুয়াডাঙ্গা ও যশোরে তাপমাত্রা ৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে, যা এই মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন। সারাদিনে দেখা নেই সুর্যের। হাঁড় কাপানো শীতে বেশি সমস্যা হচ্ছে বয়স্ক ও শিশুদের। তারা ঠান্ডাজনিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
এদিকে, ঘন কুয়াশার কারণে নৌপথে আজও যানচলাচল বিঘিœত হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই মধ্য রাত থেকে সকাল পর্যন্ত পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌরুটে বন্ধ থাকছে ফেরি পারাপার।