টেস্টে লজ্জাজনক হারের পর ওয়ানডেতে লঙ্কানদের দেখে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ ছিল বাংলাদেশের সামনে। কিন্তু, প্রথম ওয়ানডেতেই ৭৭ রানে হেরে গিয়ে বড় ধরনের ধাক্কা খায় টাইগাররা। তবে, কলম্বোর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল তারা। হৃদয় ও ইমনের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরি এবং তানভীরের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ১৬ রানের জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। ফলে, তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে এখন ১-১ সমতা।
মাঝারি মানের লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই পাথুম নিশাঙ্কাকে হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে তিনে নেমে সেই ধাক্কা সামাল দেন কুশল মেন্ডিস। দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে নিশান মাদুশকাকে সঙ্গে নিয়ে ৪৫ বলে ৬৯ রানের জুটি গড়েন তিনি। ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে ৩১ বলে ৫৬ রান করেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার। আর মাদুশকা করেন ২৫ বলে ১৭ রান।
তিন উইকেট হারিয়ে দলীয় একশ স্পর্শ করা লঙ্কানরা জয়ের পথেই ছিল। তবে হঠাৎ তাদের ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামান বাংলাদেশি স্পিনাররা। ৬ রান করা আসালঙ্কাকে ফিরিয়ে শুরুটা করেন শামীম হোসেন।
এক পর্যায়ে ১৭০ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে হারের শঙ্কায় পড়ে যায় স্বাগতিকরা। তবে জানিথ লিয়ানাগে একাই লড়াই চালিয়ে যান। ৭৮ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের খুব কাছে নিয়ে গেলেও মোস্তাফিজুর রহমানের শিকার হয়ে ফিরলে শেষ আশা হারায় লঙ্কানরা।
আজকের ইনিংসে বল হাতে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট নেন বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম। দুটি উইকেট নেন পেসার তানজিম হাসান সাকিব। একটি করে সিংহ শিকার করেন মেহেদী হাসান মিরাজ, শামীম হোসাইন ও মোস্তাফিজুর রহমান।
এদিন ৫ লংকান ব্যাটারকে সাজঘরে ফিরিয়ে জয়ে বড় অবদান রাখায় ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতে নেন বাংলোদেশি স্পিনার তানভীর ইসলাম।
এর আগে বাংলাদেশ শুরুতেই হারায় তানজিদ হাসান তামিমকে। এরপর শান্ত ও ইমন ৬৩ রানের জুটি গড়েন। শান্ত ৩০ রান করে ফিরলে ইমন ও হৃদয়ের ব্যাটে এগোতে থাকে স্কোরবোর্ড। তবে অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরেন মাত্র ৯ রান করে, টানা দ্বিতীয়বার ব্যর্থ হলেন তিনি। জাকের আলী ২৪ রান করে হৃদয়ের সঙ্গে ৪৫ রানের জুটি গড়েন। তবে হৃদয় রান আউট হয়ে ফেরার পর দ্রুত উইকেট হারায় বাংলাদেশ। শেষ দিকে সাকিবের ৩৩ রানের ক্যামিও ইনিংসে ২৪৮ রান পর্যন্ত যায় দলটি।
তিন ম্যাচের সিরিজে দুই দলই এখন ১-১ এ সমতায়। সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ওয়ানডে হবে মঙ্গলবার, পাল্লেকেলেতে।