সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় চিরবিদায় নিলেন একুশে পদকজয়ী চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরী। আজ সোমবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ প্রাঙ্গণে ও পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান বিশিষ্টজন, চারুকলা অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সংস্কৃতিকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ। সমরজিৎ রায় চৌধুরীর শিল্পকর্ম সংরক্ষণের তাগিদ দেন তারা। পরে রাজধানীর সবুজবাগে বরদেশ্বরী কালী মন্দির মহাশ্মশানে তাঁর শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে শিক্ষকতা করেছেন দীর্ঘ সময়। এবার প্রিয় সেই ক্যাম্পাসেই এলেন সমরজিৎ রায় চৌধুরী, তবে নিথর দেহে। সেখানে তাঁর মরদেহে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী, দীর্ঘদিনের সহকর্মী এবং শিক্ষার্থীরা।

এ সময় শিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরীর চিত্রকর্ম সংরক্ষণ ও শিল্প নিয়ে তাঁর চিন্তা ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলেন তারা।

এরপর একুশে পদকপ্রাপ্ত চিত্রশিল্পী সমরজিৎ রায় চৌধুরীর দেহ আনা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান বিশিষ্টজন ও সর্বস্তরের মানুষ। ফুল আর শ্রদ্ধার অর্ঘ্যে শেষবারের মতো বিদায় জানান গুনি এই শিল্পীকে।

দেশের মানুষ এই শিল্পীকে স্মরণে রাখবে তাঁর কর্মের মধ্যমে, এমনই প্রত্যাশা করেন স্বজনেরা।

শহীদ মিনার থেকে সমরজিৎ রায় চৌধুরীর মরদেহ নেয়া হয় রাজধানীন সবুজবাগে বরদেশ্বরী কালী মন্দির মহাশশ্মানে। সেখানেই সম্পন্ন হয় তাঁর শেষকৃত্য। তিনি না থাকলেও রং-তুলির আঁচড় বারবার স্মরণ করিয়ে দেবে গুণী এই শিল্পীকে।

এর আগে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিবার দুপুরে শিল্পীর মৃত্যু হয়। সমরজিৎ রায় চৌধুরীর জন্ম ১৯৩৭ সালে। ৪৩ বছর তিনি সরকারি চারুকলা ইনস্টিটিউটে শিক্ষকতা করেছেন। অবসর গ্রহণের পর শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটি অব ক্রিয়েটিভ ডিজাইনে ফাইন অ্যান্ড পারফর্মিং আর্ট বিভাগের ডিন হিসেবে যোগদান করেন। সেখানে তিনি ২০১০ সাল পর্যন্ত কাজ করেন। চিত্রকলায় অবদানের জন্য ২০১৪ সালে তিনি একুশে পদক পেয়েছেন।