প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মালিকের পুঁজি আর শ্রমিকের শ্রম দিয়ে কারখানা গড়ে ওঠে। রুটি রোজগারের কারখানা যাতে সচল থাকে সেদিকে লক্ষ্য রেখে মালিক-শ্রমিকদের কাজ করতে হবে । মহান মে দিবস উপলক্ষে আজ রোববার (০৮ই মে) আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রী শ্রমিকদের ও শ্রমের মূল্য দেবার আহ্বান জানান।

এ সময় শেখ হাসিনা বলেন, শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে অনেক শিল্প মালিক ঠিক মতো টাকা দেন না। এটা দুঃখজনক। যে কোনো প্রতিষ্ঠান চালাতে গেলে মালিকের যেমন শ্রমিকের ওপর দায়িত্ব থাকবে, তেমনি শ্রমিকেরও মালিকের ওপর দায়িত্ব থাকবে। শ্রমিকরা সুস্থ পরিবেশ পাচ্ছে কিনা সেটা মালিকদের দেখতে হবে। তাতে উৎপাদনও বাড়বে, মালিক-শ্রমিক উভয়ই লাভবান হবে।

সরকার প্রধান বলেন, আমাদের দেশ উন্নত করতে হলে শ্রমিক শ্রেণির অবদানটা গুরুত্বপূর্ণ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শ্রমিকদের জন্য সারাজীবন কাজ করে গেছেন। ২১ বছর পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে শ্রমজীবীদের উন্নয়নে নানা কাজ শুরু করি। এ দেশের সব শ্রেণির মানুষের জন্যই আমরা কাজ করি। শিশুশ্রম বন্ধ করতে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। সেক্ষেত্রে যথেষ্ট অগ্রগতি অর্জন করেছি। মে দিবস সবার জন্য কল্যাণ বয়ে আনুক। সব শ্রমজীবী মানুষকে আমার অভিনন্দন জানাই।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় ও কল্যাণে আওয়ামী লীগ সরকার যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা অতীতে কেউ নেয়নি। ২০২৫ সালে বাংলাদেশে কোন শিশুশ্রম থাকবে না। ঝুঁকিপূর্ণ কাজে কোন শিশুকে ব্যবহার করা যাবে না। তবে কিছু কাজ ছোটবেলা থেকেই পরিবারের সাথে করতে হয়। তাই সেসব কাজ বন্ধ করা যাবে না’।

এসময় প্রধানমন্ত্রী  আরো বলেছেন, শ্রমিকদের জন্য এত কাজ করার পরও কিছু শ্রমিকনেতা বিদেশিদের কাছে নালিশ করতে পছন্দ করেন। জানিনা এখানে অন্যকোনো স্বার্থ বা দেনা-পাওনার ব্যবস্থা আছে কিনা! সরকারপ্রধান বলেন, নিজের দেশের সস্পর্কে অন্যের কাছে না বলে বা কেঁদে, কোনো দাবি-দাওয়া থাকলে আমাকে জানান।