গাজীপুরের শ্রীপুরে রেল লাইন কেটে মোহনগন্জ এক্সপ্রেসে নাশকতার মূলহোতাসহ দুইজনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম এন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট (সিটিটিসি)। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) রাতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।তবে প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তারদের বিস্তারিত নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কে এন রায় বলেন, গত ১৩ ডিসেম্বরে ভোরে ঢাকা- য়মনসিংহ রেলপথে দুর্বৃত্তরা রেললাইন কেটে ফেলায় ঢাকাগামী ৭৯০ মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিনসহ সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়। গাজীপুরের শ্রীপুরে বনখুড়িয়া এলাকায় ভাওয়াল গাজীপুর রেল স্টেশনের আউটার সিগন্যালে চিলাই ব্রিজের কাছে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে নাশকতাকারী মূলহোতাসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিটিটিসি।
তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তারকালে তাদের কাছ থেকে কাটার ও রেললাইন কাটার সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রাথমিকভাবে গ্রেপ্তার দুজনের নাম-পরিচয় জানাননি তিনি। তবে এ বিষয়ে সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।
প্রসঙ্গত, ওই ট্রেন দুর্ঘটনায় একজন নিহত ও অন্তত ১০ যাত্রী আহত হন। নিহত ব্যক্তি ময়মনসিংহের গফরগাঁও উপজেলার রওহা গ্রামের আসলাম মিয়া (৩৫)।
গত ১২ ডিসেম্বর দিনগত রাতে যাত্রীবাহী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনটি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ স্টেশন থেকে ঢাকার কমলাপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে। রাতে কোনো একসময় দুর্বৃত্তরা রাজেন্দ্রপুর ও ভাওয়াল রেলস্টেশনের মাঝামাঝি স্থানে বনখুড়িয়া এলাকায় রেললাইনের একটি অংশ কেটে রাখে। ট্রেনটি ১৩ ডিসেম্বর ভোরে সেখানে পৌঁছালে সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই একজন মারা যান।
এ ঘটনার পরপরই রেলওয়ে এবং গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি করা হয়। এরপর গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোরে ঢাকার বিমানবন্দর স্টেশন এলাকায় মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসে আগুন দেওয়া হয়। এতে নেত্রকোনার গৃহবধু মা হ্যাপি ও তার শিশুসহ মারা যান চারজন।