ভিন্ন ভিন্ন সমীকরণ মাথায় নিয়ে বেঙ্গালুরুতে মাঠে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড। সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখতে  হলে এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প ছিল না কিউইদের। অন্যদিকে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি নিশ্চিত করতে জয়ের প্রয়োজন ছিল লঙ্কানদের। নিউজিল্যান্ড তাদের কাজটা ভালোভাবেই করেছে। ২৩.২ ওভারে ৫ উইকেটে হারিয়ে লঙ্কানদের দেয়া ১৭১ রানে পৌঁছে যায় কিউইরা। আজ শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে শেষ চারে এক পা যেন দিয়েই রাখল নিউজিল্যান্ড।

১৭২ রানের লক্ষ্যে শুরুটা দারুণ করে নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ও ডেভন কনওয়ের উদ্বোধনী জুটি থেকে আসে ৮৬ রান। এরপর দ্রুত কিছু উইকেট হারালেও জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ে কিউইরা। রাচিন ৪২, কনওয়ে ৪৫ ও মিচেল করেন ৪৩। দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচসেরা হন বোল্ট। এই ম্যাচেই বিশ্বকাপে ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করেন কিউই পেসার।

ইনিংসের শুরুতে ব্যাট করে শ্রীলঙ্কা। ৩, ৩০, ৩২, ৭০, ৭০ এই দলীয় রানের সংখ্যাগুলোতে প্রথম পাওয়ার প্লের ১০ ওভারেই শ্রীলঙ্কার ৫ উইকেট নেই। অর্থাৎ, প্রথম পাওয়ার প্লেতে লঙ্কানদের সংগ্রহ ৫ উইকেট হারিয়ে ৭৪ রান। ভঙ্গুর টপ অর্ডার ব্যাটিং লাইনআপে অর্জন বলতে লঙ্কান ওপেনার কুশল পেরেরার এই বিশ্বকাপের দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরির রেকর্ডটিই। শেষমেষ লঙ্কানরা ৪৬.৪ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১৭১ রানেই শেষ হয়ে যায়।

পেরেরা ২২ বলে ৯টি চার ও ২চি ছক্কার সাহায্যে হাফ সেঞ্চুরি করে ফেলেন। এছাড়া আর কোনও ব্যাটার সেভাবে খেলতে পারেননি। টেলিফোনের ডিজিটের মতোই ২, ৬, ১, ৮ এই সংখ্যাগুলোই স্কোরবোর্ডে বেশি ছিল। শেষমেষ মাহিষ থিকসানা দলকে টেনেছেন। তিনি ৯১ বলে ৩৯ রান করেন।

লঙ্কানরা শুরুতে দ্রুতই রান তুলছিলেন পেরেরার ঝড়ো ব্যাটিংয়ের সুবাদে। প্রথম ৫০ রান আসে ৩৬ বলেই। আর শত রান আসে ৯৬ বলে। দ্বিতীয় পাওয়ার প্লে’তে ৮১ রান আসে ৪ উইকেটের বিনিময়ে।

লঙ্কানদের বিপাকে ফেলার মূল কাজটি করেন ট্রেন্ট বোল্ট। তিনি ১০ ওভারে ৩টি মেডেনসহ ৩৭ রানে ৩ উইকেট দখল করেন। এছাড়া লকি ফার্গুসন ও মিচেল স্যান্টনার ও রাচিন রবীন্দ্র নেন ২টি করে উইকেট।

কিউই বোলারদের মধ্যে একমাত্র টিম সাউদিই খরুচে ছিলেন। তিনি ৮ ওভারে ৫২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন।