টেস্ট ও ওয়ানডে সিরিজ হারের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজও শুরু হার দিয়েই। শ্রীলঙ্কা থেকে খালি হাতেই ফেরার শঙ্কা পেয়ে বসেছিল টাইগারদের। কিন্তু, টানা দুই জয়ে দূর্দান্ত এক ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখলো লিটন দাসের দল। শ্রীলঙ্কার মাটিতে প্রথমবারের মতো কোনো সিরিজ জয়ের ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।

লিটন দাসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ২-১ ব্যবধানে জয় পায় টাইগাররা। তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে স্বাগতিকদের ৮ উইকেটে হারিয়ে সিরিজ নিজেদের করে নেয় বাংলাদেশ। এই জয়ের নায়ক ছিলেন শেখ মেহেদী হাসান এবং তানজিদ হাসান তামিম দুজনেই তুলে নেন নিজেদের ক্যারিয়ার সেরা পারফরম্যান্স।

কলম্বোয় ১৩৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় নামা বাংলাদেশ অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খায়। প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাকে ফিরেন পারভেজ হোসেন ইমন, টানা দ্বিতীয় ম্যাচে শূন্য রানে ফেরেন তিনি।

তবে ওপেনিং জুটি ভাঙলেও, লিটন দাসকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ঘুরে দাঁড়ান তানজিদ। দুজনে গড়েন ৭৪ রানের কার্যকর জুটি। ৩২ রানে লিটন আউট হলেও একপ্রান্ত ধরে রেখে ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি তুলে নেন তানজিদ তামিম।

৬ ছক্কা ও ১ চারে সাজানো ৪৭ বলের ঝোড়ো ইনিংসে ৭৩ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জেতান এই তরুণ। তার স্ট্রাইকরেট ছিল ১৫৫.৩১। তাওহিদ হৃদয় অপরাজিত থাকেন ২৭ রানে (১ চার, ১ ছক্কা)।

এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চারিথ আশালাঙ্কা। তবে শুরু থেকেই চাপে পড়ে স্বাগতিকরা। ৪ ওভারে মাত্র ১১ রান দিয়ে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তুলে নেন শেখ মেহেদী হাসান, যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং পারফরম্যান্স। পাওয়ার প্লের মধ্যেই ফিরে যান কুশল মেন্ডিস, কুশল পেরেরা, দিনেশ চান্দিমাল ও অধিনায়ক আশালাঙ্কা।

এক পর্যায়ে লঙ্কানদের স্কোর দাঁড়ায় ৪০/৩। পরে ওপেনার পাথুম নিশাঙ্কার ৩৯ বলে ৪৬ রানের ইনিংসে কিছুটা লড়াই করে তারা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩২ রান সংগ্রহ করে শ্রীলঙ্কা।

বাংলাদেশের পক্ষে শেখ মেহেদীর ৪ উইকেট ছাড়াও শরিফুল ইসলাম, শামীম হোসেন ও মোস্তাফিজুর রহমান একটি করে উইকেট শিকার করেন।