জাতীয় সংসদের গত মেয়াদের সংরক্ষিত আসনে আওয়ামী লীগের এমপিদের মধ্য থেকে এবার অধিকাংশই বাদ পড়ছেন। নতুন মুখ হিসেবে আসতে পারেন লড়াই সংগ্রামে অবদান রাখা দলের পরীক্ষিতরা। সমাজের বিভিন্ন শ্রেনী পেশা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের এমপি বেছে নেয়ার কথা জানিয়েছেন দলের নীতি নির্ধারকরা। আজ থেকে শুরু হয়েছে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফর্ম বিক্রি।
জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসন ৫০টি। সংসদে প্রতিনিধিত্ব করা কোনো রাজনৈতিক দল ৬টি আসনে নির্বাচিত হলে একটি সংরক্ষিত নারী আসন পান। সেই হিসেবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে ২২৩টি আসনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের ৩৭টি সংরক্ষিত নারী আসন পাওয়ার কথা। তবে ৬২জন স্বতন্ত্র প্রার্থী পৃথক জোট না করায় এবং আওয়ামী লীগকে সমর্থন দেয়ায় মোট ৪৮টি সংরক্ষিত নারী আসন পাবে দলটি। ১১টি আসন পাওয়া সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি পাবে ২টি সংরক্ষিত নারী আসন।
সংরক্ষিত আসনের এমপি হতে এরই মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের দৌঁড় ঝাপ চলছে। দলের নীতিনির্ধারক মহলের মনোযোগ আকর্ষণের পাশাপাশি দলীয় কার্যালয়ে প্রতিদিন দেখা মিলছে মনোনয়ন প্রত্যাশীদের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনে অংশ নিলেও পরে প্রার্থীতা প্রত্যাহার করা অনেকেই আছেন এই তালিকায়।
আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক পর্যায় থেকে জানা গেছে, এবছর সংরক্ষিত নারী আসনে নতুন মুখকে প্রাধান্য দেয়া হবে। তাদের মধ্য থেকে যোগ্যতার বিচারে কেউ কেউ মন্ত্রণালয়েরও দায়িত্ব পেতে পারেন। আওয়ামী লীগ ও এর বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের পাশাপাশি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গন এবং পেশাজীবীদের মধ্য থেকেও কেউ কেউ সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের এমপি হতে পারেন বলে জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান।
নানা হিসেবনিকেশ থাকলেও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা যাকে যোগ্য মনে করবেন, তাকেই মনোনয়ন দেয়া হবে বলে জানান আওয়ামী লীগ নেতারা। মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংরক্ষিত নারী আসনের জন্য মনোনয়ন ফরম বিক্রি চলবে।