আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকারে আস্থা যুক্তরাষ্ট্রের। আর, নির্বাচনের সময়, পদ্ধতি ও সংলাপের মতো বিষয়ে বাংলাদেশই সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানালেন দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আন্ডার সেক্রেটারি আজরা জেয়া। তিনি বলেন, আমরা সংলাপের পক্ষে। তবে এতে আমাদের সরাসরি সম্পৃক্ততা নেই।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ই জুলাই) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারির সাক্ষাতে এসব আলোচনা হয়।

আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হবে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। সর্বসম্মত নির্বাচন আয়োজনের লক্ষ্যে সংলাপ নিয়ে রাজনীতির অঙ্গনে অনেকদিন ধরেই চলছে নানা আলোচনা।

নির্দলীয় সরকারের অধীন ছাড়া নির্বাচন হবে না বলে বিএনপি বারবার দাবি জানিয়ে এলেও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বলছে সংবিধান অনুযায়ী ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনেই আগামী সংসদ নির্বাচন হবে।

বিষয়টি নিয়ে দেশের প্রধান দুই দল অবস্থানে অনড় থাকলেও দেশি-বিদেশি চাপে শেষ মুহূর্তে সংলাপের টেবিলে উভয় দলের দেখা যেতে পারে বলে অনেকে ধারণা করছেন।

চার দিনের সফরে ঢাকায় আসা মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের বেসামরিক নিরাপত্তা, গণতন্ত্র ও মানবাধিকারবিষয়ক আন্ডার সেক্রেটারি উজরা জেয়া পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সংলাপ নিয়ে কথা বলেন।

উজরা জেয়া বলেন, বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় যুক্তরাষ্ট্র। তবে, সে নির্বাচন কবে হবে তা বাংলাদেশই ঠিক করবে। বাংলাদেশের ওপর আরোপিত মার্কিন ভিসা পলিসি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য। অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও প্রতিশ্রুতি আছে, সে প্রতিশ্রুতি পূরণে সহায়তা করতে এ ভিসানীতি। কোনো দলের প্রতি আমাদের কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই। আমরা একটা নিরপেক্ষ, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চাই।

তিনি বলেন, বুধবার বাংলাদেশের বড় দুই রাজনৈতিক দল যে সমাবেশ করেছে সেটা আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি এবং সেখানে কোনো সংহিসতা ঘটেনি। আমরা এটার পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই। বাংলাদেশে সরকারের সঙ্গে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীসহ বাকিদের কাছ থেকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে দৃঢ় প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। আমরা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করে যাব। মানবাধিকারসহ অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের ক্ষেত্রে দীর্ঘদিনের অংশীদার হিসেবে আমরা আমাদের পক্ষ থেকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করব।

উজরা জেয়া আরও বলেন, আমি এখানে এসেছি বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ককে আরও গভীর করতে। অবাধ ও সহনশীল ইন্দো-প্যাসিফিকের অঞ্চলে আরও সুরক্ষিত এবং সমৃদ্ধশীল করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা করতে। যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে আমরা বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানাই। তারা বিশাল সংখ্যক রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছে।